Saturday, September 27, 2008

Manush ami amar keno pakhir moto mon






ঃঃঃঃ মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন, তাইরে নাইরে নাইরে ঃঃঃঃ

অনেক দিন আগে একটা বই পড়েছিলাম। দি বার্ডম্যান। রাইটার নাম ধাম কিছু মনে নাই। সায়েন্স ফিকশান। সায়েন্সের পরিমান প্রয়োজনের চেয়েও অনেক অনেক কম আর ফিকশান ভর্তি। একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ইলেক্ট্রিসিটির কাজ করছিল। ভুলক্রমে তার শরীরের ভেতর দিয়ে হাই ভোল্টেজের কারেন্ট চলে যায়। ভদ্রলোক কয়েকদিন হসপিটালে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। কেউ টের পায়নাই এর ফলে তার ডিএনএতে কঠিন মিউটেশান হয়ে গেছে। যাই হোক বাড়ি ফিরেই সে তার বউএর সাথে মিলিত হয় এবং তার বউ গর্ভবতী হয়। যথাসময়ে তাদের একটা ফুটফুটে ছেলে বাচ্চা হলো। অনিন্দ্য সুন্দর একটা বাচ্চা, একটাই খুত তার ডিএনএ তে বারাবারি রকম মিউটেশানের ফলে সে জন্ম নেয় একজোড়া ডানা নিয়ে। স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় তার হাড় অনেক বেশি পাতলা এবং হালকা, শরীর স্তন্যপায়ীদের চেয়ে উষ্ণ। বিজ্ঞানীরা বাচ্চাটাকে আলাদা করে রাখে। একটা নির্জন দ্বীপে একজন বিজ্ঞানীতাকে নিজের ছেলের মত আদর যত্ন বড় করতে থাকে (অনেকটা বেলায়েভ এর এম্ফিবিয়ান ম্যান এর মত)। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার একটা বাজে স্বভাব হলো মাঝে মাঝেই সে ডানা মেলে উড়াল দিত, সাগর পাড়ি দিয়ে মেইনল্যান্ডে চলে আসতো। শহরের পত্রপত্রিকায় অতিকায় একপাখির কথা ফলাও করে প্রচার হতে থাকে। এই সময় মেইনল্যান্ডের একরুপসীর প্রেমে পড়ে বার্ডম্যান। পড়ে পালক বৈজ্ঞানীক বাবার সহায়তায় অপরেশন করে ডানা কেটে ফেলে দেয়। স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে বিয়ে করে সুখে ঘর সংসার শুরু করে দেয়। কিছুদিন পরে তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়। সে বার বার ভয় পাচ্ছিলো তার ছেলেও কি ডানা নিয়ে জন্ম হবে। কিন্তু বাস্তবে এমন হলোনা। একটা সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম হল। তার বৈজ্ঞানিক পালক বাবা হাইপো থিসিস দিল প্রকৃতির একটা ভুলের ফলে অস্বাভাবিকতা নিয়ে বার্ডম্যানের জন্ম। একই ভুল প্রকৃতি দ্বিতিয়বার করবে না।
সব ঠিকঠাক চলছিল। সুন্দরী স্ত্রী, সুস্থ সবল একটা ছেলে। বার্ডম্যান একদিন অবাক হয়ে দেখলো তার পিঠের কাছটা থেকে আবার ডানা গজাচ্ছে। এই ডানাটা আগেরটার মত সবল না, অনেক দুর্বল। তার পালক বাবা ছাড়া আর সবার কাছে ব্যাপারটা গোপন রাখলো সে। পালক বাবা বললো আরেকটু শক্ত হলেই অপারেশন করে ডানা কেটে দেবে। কিন্তু শীত আসছে। প্রতি রাতেই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সাগরের পারে দক্ষিন আকাশে বুভুক্ষের মত তাকিয়ে থাকে সে। একদিন আর সামলাতে পারে না। ডানা মেলে দিল দক্ষিন আকাশে। মেঘ ধরতে হবে। এই ডানা জোড়া অনেক দুর্বল। ঘন্টাখানেক ওড়ার পড়ে আর পারলো না সে। সাগরে সলীল সমাধি হয়। তখন স্ত্রী কিংবা পুত্রের জন্যে কোন আক্ষেপ হয় না। তার মনে চাপা উল্লাস। দক্ষিনে না পৌছালেও শেষবারের মত সে ডানা মেলে দিতে পেড়েছে।

গল্পটা খুব সুবিধার না। কিন্তু আমার ভালো লেগেছিল অনুভুতিটার জন্যে। ডানা মেলার আকুতি আকাশ ধরার জন্যে যে আকুতি। পৃথিবীতে ডানা মেলার লোকের অভাব নেই। যাযাবর পাখির মত। সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা বইএ উনি আরবের বেদুঈনদের ব্যাপক প্রসংসা করেন। হতে পারে ওরা বাউন্ডুলে, ডাকাত, মানবীক আবেগগুলোর স্থান ওদের কাছে অনেক কম। কিন্তু ওরা স্বাধীন। মরুভুমিই ওদের বিশ্ব। তরল সোনা প্রাপ্তির পর আরবের বাদশাহরা বিভিন্ন মরুভুমীতে সেচ চালু করলো। জায়গায় জায়গায় বালিয়ারীর মাঝে সবুজ ঘাস ফলতে লাগলো। কিন্তু ওগুলো আগাছাই হয়ে রইলো। বেদুইনদের জোর করেও ওদিকে থিতু করা গেলনা। ওরা আজ এখানে তো কাল এখানে। ইউরোপের জীপসীরা আমাদের বেদেদেরই বংশধর। শুনেছি সুলতান মাহমুদের আমলে কাশ্মির থেকে ওরা প্রথমে সারা ভারতবর্ষে পরে আরব হয়ে ইউরোপে পৌছে। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে লোকেরা ওদেরকে ভালো চোখে দেখত না। ওরা নোংরা থাকে, ঘর বাড়ির বালাই নাই, রোগ জীবানু ছড়ায় (সাত ঘাট ঘুরে চৌদ্দরকম রোগের জীবানু বহন করে) আর সামাজিক সমস্যাও তৈরি করে অনেক। সব সরকারেই চেষ্টা করেছে অনেক। ওদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে নাই। হিটলার সবচে বেশী খড়গ হস্থ ছিলেন, ফলাফল লবডঙ্কা। একসময় ওদের ধরে ধরে আগুনে পুড়িয়ে মারা হত। কিন্তু কিছুতেই ওদেরকে ডেরা বাধতে সেখানো যায়নাই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে কিছুদিন আগে ইবনে বতুতার উপরে একটা প্রোগ্রাম দেখলাম। একজন তুর্কি ভদ্রলোক ইবনে বতুতার রুট ফলো করছেন। তাঞ্জানিয়া থেকে মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে মক্কা মদীনা, এরপরে তুর্কী সম্রাজ্য হয়ে ভুমধ্যসাগরের ওপারের দেশগুলো থেকে রুশ সম্রাজ্য, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, দীল্লীর সুলতানের দরবার, বাংলাদেশের শাহজালাল মাজার, বরিশাল, চট্টগ্রাম হয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে থাইল্যান্ড হয়ে চীন। ইবনে বতুতা তাঞ্জানিয়ার লোক ছিলেন। তার বাবা তাকে পাঠিয়েছিলেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০ হবার আগেই পায়ে হেটে আরব থেকে তিনি দুইবার হজ্জ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির লোভ কিছুই তাকে বাধতে পারে নি। উনি ২১ বছর ধরে পায়ে হেটেছেন পৃথীবীর পথে পথে শুধু মানুষ দেখতে। রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল কিংবা আরবের মরুভুমি, উত্তাল বঙ্গোপসাগর অথবা শান্ত ভু মধ্যসাগর সবই তার কাছে এক ছিল। দিল্লীর উন্মাদ শাহানশাহ সুলতান মাহমুদ তার পান্ডিত্যে এতই মুগ্ধ হলেন সাথে সাথে তাকে সভাসদ করে রেখে দিতে চাইলেন। কিছুতেই যেতে দেন না। সুলতানের হাত থেকে পালাতে তিনি মাটির তলায় একটা গুহাতে চল্লিশদিন একটানা থাকলেন। ৪০দিন একটানা রোজা ছিলেন। সময় কাটাতেন পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে কিংবা মেডিটেশন করে। পরে সুলতান মাহমুদ বুঝতে পেরেছিলেন এই লোকটা দেখতে হাত পা ওয়ালা মানুষ হলেও আসলে সে একটা ডানা ওয়ালা পরিব্রাজক পাখি। দেশান্তরী পাখিকে তো আটকে রাখা যায় না। অনেক উপঢৌকন সহ তাকে ছেড়ে দিলেন। পাঞ্জাবের কাছে আসতেই উপহার লুটেরা তাকে আক্রমন করে। মাথা ফেটে রক্তে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে। মৃত ভেবে তাকে ফেলে যায়। এমন সময় এক দীর্ঘকায় ভারতী পুরুষ এসে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার কি হয়েছে, আমার নাম দিল শাহ, তুমি আমার সাথে আস আমি তোমাকে রক্ষা করবো। ইবনে বতুতার মনে পড়লো কৈশরে উনি স্বপ্নে এই দৃশ্যটাই দেখেছিলেন। সেই লোক নিঃস্ব অসুস্থ বতুতাকে পাঞ্জাবের এক গ্রামে নিয়ে আসেন। জ্ঞ্যান ফেরার পর তাকে আর কোথাও দেখা গেলনা। সেই গ্রামে অথবা আশে পাশের লোকালয়ে কোথাও এই নামের কোন লোক ছিলনা। ইবনে বতুতা সেখানেও থাকলেন না। ডানা মেলে দিলেন সাগরের দিকে। (উনার ২১ বছরের ভ্রমন নিয়া লিখা অমর পুস্তক রিসালাহ, গুগলে সার্চ দিলেই পাওয়া যায়)।

আজকে রাতে বৃষ্টই থামলে ছাদে দাড়ালাম। সাদা মেঘে আকাশ ভর্তি। অনেক উপরের স্তরে বোধহয় খুব জোড়ে বাতাস বইছে। জানি না মনে হয় সাগরে কোন ডিপ্রেশন তৈরি হচ্ছে। মেঘ গুলো প্রচন্ড গতিতে উত্তরে ছুটছে। মেঘ ছুয়ে দেখার প্রবল আকুতি থেকে এই লিখাটা লিখলাম। খুব ব্যাক্তিগত একটা লিখা। নিজের আবেগ আর অনুভুতি গুলোকে একটূ সাজিয়ে বলতে চাইলাম। আমি অনেকক্ষন মেঘ দেখে নিচে নামলাম। মনের মধ্যে একটা গানের কথাই ঘুরছে, মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন, তাইরে নাইরে নাইরে গেল সারাটা জীবন।

Wednesday, September 3, 2008

ঃঃঃঃঃ মানুষের বিবর্তন এবং সামাজিকতা ঃঃঃঃঃঃ

কয়েকদিন আগের কথা। রাত ১১টার মতো বাজে। আমি রিক্সাকরে বাড়ি ফিরছিলাম। সোনারগাঁ সিগন্যালের মোড়ে দেখলাম ঢাকার বাইরে থেকে খাদ্য বাহী পিক-আপ ভ্যান গুলো কাওরান বাজারে ঢুকছিলো। মোড় ঘোড়ানোর জন্যে স্লো করে। টোকাইদের একটা দল। বয়স সবার গড়ে ১০-১২ হবে। একজন লাফ দিয়ে চলন্ত পিক-আপের পিছে উঠে গেল। তার পরে বস্তার মুখ খুলে খাবার দাবার ফেলে দিল চোখের নিমিষেই, ফুটপাথে থাকা তার গ্যাং এর বাকীরা কুড়িয়ে নিয়ে দৌড়। ড্রাইভার থামানোর আগেই ছেলেটাও দৌরে হাওয়া হয়ে গেল। আমি মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক ট্রেনিং নেয়া। ১০ বছরের ছেলেটা যেভাবে লাফিয়ে চলন্ত ট্রাকে উঠলো আমি হতবম্ভ হলাম। চালের দাম আক্রা। খাবার না পেলে সব প্রানী খাবার কেড়ে নেবে এবং দরকার মতো অভিযোজিত হবে।

এইচ জি ওয়েলসের “টাইম মেশিন” বইটা সায়েন্স ফিকশান জগতে একটা বিরাট কাজ। টাইম মেশিন নিয়ে পড়ে অনেক ভালো ভালো কাজ হয়েছে যতদুর জানি এটা প্রথম কাজ। তবে আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনি নাই যে ওয়েলসের টাইম মেশিন তার প্রিয় বই। কেন? আমার যা মনে হয়েছে বইটাতে ভবিষ্যতের মানব সম্প্রদায়ের করুন পরিণতি দেখানোর জন্যে। সবাই সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, টাইম মেশিন সিনেমার ক্ষেত্রেও তাই। ভবিষ্যতে মানুষের বিবর্তন হবে, দুই প্রজাতির মানুষ তৈরি হবে, একদল মাটির উপরে সুন্দর জীবনযাপন করবে, আর দল মাটির নিচে বর্বর পশুদের জীবনে থাকবে। সুযোগ পেলেই ওদের ধরে খেয়ে ফেলবে। ব্যাপারটা কষ্টের।

ওখানের যা বলেছে ভবিষ্যতের ধনি মানুষেরা জগতের সব সুবিধা পাবে। ওরা পৃথিবীর সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলোতে বসত গারবে। ভালো খাবার খাবে, ভালো শিক্ষা, ভালো চিকিতসা ভালো সব কিছুই তাদের দখলে। আর গরীবের দল থাকবে, সাবওয়েতে, ফুটপাথে, ফেলে দেয়া খাবার খাবে, শিক্ষা চিকিতসা ছাড়া বাঁচতে শিখবে। এবং মানুষের ধর্ম যখন কিছুই পাবে না তখন কেড়ে নিতে শিখবে।

মুল প্রসঙ্গে যাবার আগে আরেকটু সায়েন্সের বাগড়াম্বর করি। অনেক আগে এরকম একটা ফিচার পড়ছিলাম কোন জানি ম্যাগাজিনএ। পাশ্চাত্যের লোকজনেরা টেকনোলজি ব্যাবহারে এগিয়ে যাচ্ছে। আর অনুন্নত দেশগুলো পিছিয়ে আছে কয়েক শতাব্দি। এর সামাজিক প্রভাবটা দেখা যাচ্ছে, প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যে। ওরা ভাবে অন্যভাবে, ভালোবাসে অন্যভাবে, খাদ্যাভ্যাস চিন্তা করাও আলাদা। আমরা বলি আমেরিকানরা লুইচ্চা, ইন্ডিয়ানরা কিপটা, ইজরায়েলীরা হার কঞ্জুষ, ব্রিটিশরা গম্ভির, ফরাসীরা উচ্ছৃঙ্খল যৌনতা, আর আইরিশরা লোভী, ইথিওপিয়ার অভুক্ত শিশুদের নিয়ে ফানি কার্টুন দেখার দুর্ভাগ্য আশা করি আমার একার হয়নি। ওই পত্রিকাটা বলেছিল, হয়তো এর ইফেক্ট মানব বিবর্তনে প্রভাব ফেলবে (না ফেলার কারণ দেখি না)। যখন সাগরে খাবার প্রাচুর্যতা কমে গেল আর স্থলে বাড়লো সাগরের প্রানীরা বিবর্তনের মাধ্যমে স্থল চর হলো। মিউজিয়ামে গিয়ে আগেরকালের ঢাল তলোয়ার গুলো দেখলে অবাক হতে হয় এরকম ভয়ঙ্কর হেলমেট আর বর্ম পড়ে ওরা ভিষন দর্শন গদা নিয়ে কিভাবে ফাইট করতো। বিজ্ঞানীরা বলছে মানুষের আকৃতি ছোট হচ্ছে, কানের লতি, এপেনডিক্সের মতো অপ্রয়োজনীয় অংগ নাকি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। বায়োলজীতে আমার জ্ঞ্যান খুব কম তাই শিওর বলতে পারছিনা এরা ঠিক কি না। কিন্ত ডারউইনের বিবর্তনবাদ সঠিক হলে মানুষের বিবর্তন না হবার কারণ নাই, আর এই চাওয়া না পাওয়াগুলো এর কারণ হতে বাধ্য। হোমো স্যাপিয়েন্স থেকে জন্ম নেবে নতুন প্রজাতি হোমো সুপেরিয়র। যেই শিশুটা বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, শিক্ষা চিকিতসা ছাড়া জন্ম নিয়ে বড় হয়, অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বড় হয়, এবং খুব বেশি প্রতিভভাবান না হলে তার ছেলে এবং তার ছেলেও একই রকম সুযোগ পায়, তার নাতি আর সমাজের উচ্চস্তরের এক ব্যাবসায়ীর নাতির চেহারা, শারিরিক ক্ষমতা, মেন্টালিটি সব আলাদা হতে বাধ্য। সৌদি রাজবংশের সবাই মোটা মুটি দেখতে একই রকম, ফর্সা, তেল তেলে চর্বি আর ভুড়িওয়ালা। আমেরিকানরা সবাইকেই দেখি বিশাল লম্বা চওরা। আর আফ্রিকা বা এশিয়ার মোটামুটি বেশিরভাগ লোক দুর্বল শারিরিক গঠনের হয় অথবা হচ্ছে।

রোজার মাস। সবাই বাড়িতে হালিম, ছোলা বুট খাচ্ছি, সবাই অবশ্য না। যারা খেতে পাড়ছে না, তাদের সামাজিকতায় আর মানষিকতায় পরিবর্তন আসছে। এরা কম্পিউটার দেখেনি, ব্লগিং কখোনোই করবে না। এরা কম্পিউটার ভাইরাসের কিংবা স্প্যাম মেইল নিয়ে ভাববে না, আর আরেকদল জন্মানোর পর থেকেই জানবে ইলেক্ট্রিসিটি, বাবা মা কে লুকিয়ে কিভাবে কোন চ্যানেলে এডাল্ট শো হয় এরা জানে, চ্যাট করে টিনেজ লাইফ কাটাবে, এরা আরেকদলে।এই পরিবর্তন হয়তো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে যাবে। এবং কেড়ে খেতে হবে খাবার না পেলে। তাও না পেলে শিকার করতে হবে। ঈশ্বর ওয়েলসের টাইম মেশিন যেন কখোনো সত্য না হয়।

সুপার হিউম্যানদের নিয়ে অনেক লিখাই পাওয়া যায় নেটে, কেউ ইন্টারেস্টেড থাকলে পড়তে পারেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Superhuman