Tuesday, August 5, 2008

tumi amar koyekdiner ghum na hobar karon hobe....



অনেক দিন পর আবার বৃষ্টি হচ্ছে। এটা যে খুব শুকনা টাইপ বর্ষা গেছে এটা কেউ বলতে পারবে না। আষার মাসটাতে ভালো বৃষ্টি হলো, আর শ্রাবণের প্রথম দিকটাতে তো ঝুম বৃষ্টি, কিন্ত শ্রাবনের মাঝা মাঝি থেকে হঠাত করে যে কি হলো, দিনের বেলা কড়া রোদ উঠে, আকাশ থাকে ঝক ঝকে...শ্রাবণ মাসের আকাশে ধুলা বালি এমনিতেই কম থাকে, এরকম আকাশে অনেক তারা দেখা যায়... লোড -শেডিং এর টাইমে আমি তো এক সন্ধ্যায় ড্রাগন মন্ডলী দেখলাম। একদিনে গভীর রাতে অবাক হয়ে দেখলাম আকশে ছায়া পথ দেখা যাচ্ছে, ঢাকার আকাশে ছায়াপথ অবিশাস্য। গত দুই তিন ধরে আবার ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এখন যেমন রাত দুই টা, পুরো নগরী ঘুমিয়ে পাগল হবার দশা, বাইরে শ্রাবণের অঝর ধারা ক্রমাগত ঢাকা কে ভিজিয়ে দিচ্ছে বারে বার। সারা ঘুমে অস্থির সবাই আর আমি জেগে বসে একা...আজকে বেশ মজা লাগছে। বেশ কিছু দিন ধরে রাতে ঘুম হচ্ছে না। সকালে সূর্য্য উঠার অনেক পড়ে ঘুমাতে যাই, গত কয়েকদিন ধরে সকালে জগিং শুরু করছি, অনেক মজা লাগছে, ধান মন্ডি লেক এর পাশে অনেক লোক জগিং করছে, জীবনকে কতো ভালোবাসে সবাই...মানুষের অসম্ভব শক্তিশালী মন কিংবা আত্মা যেটাই বলি তার পার্মানেন্ট আড্রেস কিন্ত নশ্বর দেহে, তাই আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যত বেশী দিন পারা যায় দেহ টাকে বাঁচিয়ে রাখা লাগবে। কালকে সারা রাত জেগে কাটানোর পরে সকালে পাঁচটায় আলো ফুটলো, আমি অনেকটা রাস্তা বেশ জোরের সাথে দৌড়ালাম, মিলিটারি একাডেমি ছাড়ার এতো বছর পরে শরীরে সেই জোস টা আর নাই, তার পরের চেষ্টা করলাম। ২৭ নাম্বারের মাথায় গিয়ে আর পারলাম না। জোড় কদমে হাটা শুরু করলাম। ধানমন্ডি লেক এর পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে রাইফেলসএর সামনে দিয়ে ফেরত আসলাম জাহাজ বাড়ির পিছের রাস্তা দিয়ে, নজরুলের কবি ভবনের সামনে চা খেতে খেতে গতকালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এক ড্রাইভারের জ্বালাময়ী ভাষন শুনলাম, ড্রাইভার লোকটা মনে হয় আওয়ামী লীগার, কঠিন বক্তৃতা দিয়ে সরকারকে তুলা ধুনা করলো, বাসায় এসে না ঘুমিয়ে নয়টায় ক্লাসে গেলাম আলেনকে নিয়ে। সেমিস্টার ড্রপ করছি, সবাই নতুন মুখ, এই ব্যাচ এর পোলাপান বোধ হয় সবাই ঘাগু টাইপ স্টুডেন্ট, আপ্লাইড স্ট্যাট এর মত সাবজেক্টেও দেখলাম ক্লাশে সবার দুর্ধষ পার্ফরমেন্স। বরিশাইল্যা সুমন আগে আমদের ব্যাচ এ ছিল, আইএলটস করার জন্যে ও আগে সেমিস্টার ড্রপ দিছলো, এখন তাই একমাত্র ওকে পেলাম। অনেকক্ষন কথা হলো, ও পরিচয় করে দিচ্ছিল, মেয়েদের ব্যাপারে দেখি ওর কমেন্টসগুলো খুব অদ্ভুত, ওইযে সুন্দরমত মেয়েটা দেখছিস ও হচ্ছে আমাদের ফার্স্ট গার্ল, ইস্টওয়েস্টের এক পোলার সাথে অনেক দিন রিলেশন ছিল, এখন নাই...।ফাউল মেয়ে। আমি বিরক্ত প্রকাশ করাতেই বলল হ্যা তোর মত যেই সব পোলাপান বলে যে গার্লফ্রেন্ডের মোবাইল বিজি থাক্তেই পারে তাদের সাথেই এইসব হয়। আরে আমি বয়ফ্রেণ্ড একটা মেয়ের আর কি বিজিনেস? আমি কি আর করি, একটু রক্ষনাত্মক হয়ে বললাম হ্যা রাত বারোটার পরে বিজি পাইলে একটা কথা কিন্ত দিনের বেলা ওর কাজ থাকতে পারে না? আজকাল খুব কম পাবলিকই তো খালি পড়াশুনা করে, সবাই মোটামুটি পড়াশুনার পাশাপাশি, পার্টটাইম অর অন্য কিছু করছে...সুমন বিশাল কাহিনী বলল, স্ট্যামফোর্ডে নাকি ওর এক ফ্রেন্ড আছে, যার গার্লফ্রেন্ড একদিন ওদের ফ্রেন্ড আড্ডায় আসছিলো, ওখান থেকে ইস্টওয়েস্টের আরেক ফ্রেন্ডের নাম্বার নিছলো, এর পর থেকে নাকি ওই ছেলে দেখে প্রায় রাতেই মেয়ের মোবাইল বিজি থাকে, তাই ওই ছেলে ঠিক করলো একদিন ওই ছেলে ওকে ফলো করা শুরু করলো। একদিন সব বন্ধু নিয়ে ফলো করছিলো, দেখলো মেয়েটা ওর সেই ফ্রেন্ড (ইস্টওয়েস্টের) নিয়ে ইয়াম ইয়ামএ ঢুকছে, ওই ছেলে ঢুকে সবার সামনে মেয়েটাকে থাপ্পড় মেরে চলে আসছে। সুমন খুব গর্বের সাথে ওর ফ্রেন্ডের কাহিনী বল্লো, আমি বললাম, তুই কিছু বললিনা? সে দেখি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে...।


সুমন কে নাকি পল্লবীতে প্রায় দেখা যায় বাইকের পিছে একটা মেয়েকে নিয়ে ঘুড়তে। সুমনের গার্লফ্রেন্ড মেয়েটাকে আল্লাহ রক্ষা করুক। যদি রিলেশান না টিকে, চুকিয়ে দিয়ে দুই জন দুই দিকে চলে যাক...মারা মারি করা কি? অনেক দিন দুজনেই কষ্টের মধ্যে থাকবে। তুমি আমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবে, আমি তোমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবো, ধীরে ধীরে সব ভুলে যাবে...ধীরে ধীরে সব ভুলে যাব...ভুলে যাবার আগের সময়টা অনেক কষ্টের কিন্ত জীবন তো থেমে থাকার নয়।

1 comment:

Bipasha Debnath said...

হা হা হা হা হা হা হা হা হা ঃ)