Saturday, September 27, 2008

Manush ami amar keno pakhir moto mon






ঃঃঃঃ মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন, তাইরে নাইরে নাইরে ঃঃঃঃ

অনেক দিন আগে একটা বই পড়েছিলাম। দি বার্ডম্যান। রাইটার নাম ধাম কিছু মনে নাই। সায়েন্স ফিকশান। সায়েন্সের পরিমান প্রয়োজনের চেয়েও অনেক অনেক কম আর ফিকশান ভর্তি। একজন ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি ইলেক্ট্রিসিটির কাজ করছিল। ভুলক্রমে তার শরীরের ভেতর দিয়ে হাই ভোল্টেজের কারেন্ট চলে যায়। ভদ্রলোক কয়েকদিন হসপিটালে থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে। কেউ টের পায়নাই এর ফলে তার ডিএনএতে কঠিন মিউটেশান হয়ে গেছে। যাই হোক বাড়ি ফিরেই সে তার বউএর সাথে মিলিত হয় এবং তার বউ গর্ভবতী হয়। যথাসময়ে তাদের একটা ফুটফুটে ছেলে বাচ্চা হলো। অনিন্দ্য সুন্দর একটা বাচ্চা, একটাই খুত তার ডিএনএ তে বারাবারি রকম মিউটেশানের ফলে সে জন্ম নেয় একজোড়া ডানা নিয়ে। স্বাভাবিক মানুষের তুলনায় তার হাড় অনেক বেশি পাতলা এবং হালকা, শরীর স্তন্যপায়ীদের চেয়ে উষ্ণ। বিজ্ঞানীরা বাচ্চাটাকে আলাদা করে রাখে। একটা নির্জন দ্বীপে একজন বিজ্ঞানীতাকে নিজের ছেলের মত আদর যত্ন বড় করতে থাকে (অনেকটা বেলায়েভ এর এম্ফিবিয়ান ম্যান এর মত)। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার একটা বাজে স্বভাব হলো মাঝে মাঝেই সে ডানা মেলে উড়াল দিত, সাগর পাড়ি দিয়ে মেইনল্যান্ডে চলে আসতো। শহরের পত্রপত্রিকায় অতিকায় একপাখির কথা ফলাও করে প্রচার হতে থাকে। এই সময় মেইনল্যান্ডের একরুপসীর প্রেমে পড়ে বার্ডম্যান। পড়ে পালক বৈজ্ঞানীক বাবার সহায়তায় অপরেশন করে ডানা কেটে ফেলে দেয়। স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে বিয়ে করে সুখে ঘর সংসার শুরু করে দেয়। কিছুদিন পরে তার স্ত্রী গর্ভবতী হয়। সে বার বার ভয় পাচ্ছিলো তার ছেলেও কি ডানা নিয়ে জন্ম হবে। কিন্তু বাস্তবে এমন হলোনা। একটা সুস্থ স্বাভাবিক সন্তানের জন্ম হল। তার বৈজ্ঞানিক পালক বাবা হাইপো থিসিস দিল প্রকৃতির একটা ভুলের ফলে অস্বাভাবিকতা নিয়ে বার্ডম্যানের জন্ম। একই ভুল প্রকৃতি দ্বিতিয়বার করবে না।
সব ঠিকঠাক চলছিল। সুন্দরী স্ত্রী, সুস্থ সবল একটা ছেলে। বার্ডম্যান একদিন অবাক হয়ে দেখলো তার পিঠের কাছটা থেকে আবার ডানা গজাচ্ছে। এই ডানাটা আগেরটার মত সবল না, অনেক দুর্বল। তার পালক বাবা ছাড়া আর সবার কাছে ব্যাপারটা গোপন রাখলো সে। পালক বাবা বললো আরেকটু শক্ত হলেই অপারেশন করে ডানা কেটে দেবে। কিন্তু শীত আসছে। প্রতি রাতেই তার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সাগরের পারে দক্ষিন আকাশে বুভুক্ষের মত তাকিয়ে থাকে সে। একদিন আর সামলাতে পারে না। ডানা মেলে দিল দক্ষিন আকাশে। মেঘ ধরতে হবে। এই ডানা জোড়া অনেক দুর্বল। ঘন্টাখানেক ওড়ার পড়ে আর পারলো না সে। সাগরে সলীল সমাধি হয়। তখন স্ত্রী কিংবা পুত্রের জন্যে কোন আক্ষেপ হয় না। তার মনে চাপা উল্লাস। দক্ষিনে না পৌছালেও শেষবারের মত সে ডানা মেলে দিতে পেড়েছে।

গল্পটা খুব সুবিধার না। কিন্তু আমার ভালো লেগেছিল অনুভুতিটার জন্যে। ডানা মেলার আকুতি আকাশ ধরার জন্যে যে আকুতি। পৃথিবীতে ডানা মেলার লোকের অভাব নেই। যাযাবর পাখির মত। সৈয়দ মুজতবা আলীর একটা বইএ উনি আরবের বেদুঈনদের ব্যাপক প্রসংসা করেন। হতে পারে ওরা বাউন্ডুলে, ডাকাত, মানবীক আবেগগুলোর স্থান ওদের কাছে অনেক কম। কিন্তু ওরা স্বাধীন। মরুভুমিই ওদের বিশ্ব। তরল সোনা প্রাপ্তির পর আরবের বাদশাহরা বিভিন্ন মরুভুমীতে সেচ চালু করলো। জায়গায় জায়গায় বালিয়ারীর মাঝে সবুজ ঘাস ফলতে লাগলো। কিন্তু ওগুলো আগাছাই হয়ে রইলো। বেদুইনদের জোর করেও ওদিকে থিতু করা গেলনা। ওরা আজ এখানে তো কাল এখানে। ইউরোপের জীপসীরা আমাদের বেদেদেরই বংশধর। শুনেছি সুলতান মাহমুদের আমলে কাশ্মির থেকে ওরা প্রথমে সারা ভারতবর্ষে পরে আরব হয়ে ইউরোপে পৌছে। ইউরোপিয়ান দেশ গুলোতে লোকেরা ওদেরকে ভালো চোখে দেখত না। ওরা নোংরা থাকে, ঘর বাড়ির বালাই নাই, রোগ জীবানু ছড়ায় (সাত ঘাট ঘুরে চৌদ্দরকম রোগের জীবানু বহন করে) আর সামাজিক সমস্যাও তৈরি করে অনেক। সব সরকারেই চেষ্টা করেছে অনেক। ওদেরকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে নাই। হিটলার সবচে বেশী খড়গ হস্থ ছিলেন, ফলাফল লবডঙ্কা। একসময় ওদের ধরে ধরে আগুনে পুড়িয়ে মারা হত। কিন্তু কিছুতেই ওদেরকে ডেরা বাধতে সেখানো যায়নাই। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে কিছুদিন আগে ইবনে বতুতার উপরে একটা প্রোগ্রাম দেখলাম। একজন তুর্কি ভদ্রলোক ইবনে বতুতার রুট ফলো করছেন। তাঞ্জানিয়া থেকে মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটি থেকে মক্কা মদীনা, এরপরে তুর্কী সম্রাজ্য হয়ে ভুমধ্যসাগরের ওপারের দেশগুলো থেকে রুশ সম্রাজ্য, ইরান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, দীল্লীর সুলতানের দরবার, বাংলাদেশের শাহজালাল মাজার, বরিশাল, চট্টগ্রাম হয়ে শ্রীলঙ্কা থেকে থাইল্যান্ড হয়ে চীন। ইবনে বতুতা তাঞ্জানিয়ার লোক ছিলেন। তার বাবা তাকে পাঠিয়েছিলেন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০ হবার আগেই পায়ে হেটে আরব থেকে তিনি দুইবার হজ্জ করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির লোভ কিছুই তাকে বাধতে পারে নি। উনি ২১ বছর ধরে পায়ে হেটেছেন পৃথীবীর পথে পথে শুধু মানুষ দেখতে। রাশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল কিংবা আরবের মরুভুমি, উত্তাল বঙ্গোপসাগর অথবা শান্ত ভু মধ্যসাগর সবই তার কাছে এক ছিল। দিল্লীর উন্মাদ শাহানশাহ সুলতান মাহমুদ তার পান্ডিত্যে এতই মুগ্ধ হলেন সাথে সাথে তাকে সভাসদ করে রেখে দিতে চাইলেন। কিছুতেই যেতে দেন না। সুলতানের হাত থেকে পালাতে তিনি মাটির তলায় একটা গুহাতে চল্লিশদিন একটানা থাকলেন। ৪০দিন একটানা রোজা ছিলেন। সময় কাটাতেন পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত করে কিংবা মেডিটেশন করে। পরে সুলতান মাহমুদ বুঝতে পেরেছিলেন এই লোকটা দেখতে হাত পা ওয়ালা মানুষ হলেও আসলে সে একটা ডানা ওয়ালা পরিব্রাজক পাখি। দেশান্তরী পাখিকে তো আটকে রাখা যায় না। অনেক উপঢৌকন সহ তাকে ছেড়ে দিলেন। পাঞ্জাবের কাছে আসতেই উপহার লুটেরা তাকে আক্রমন করে। মাথা ফেটে রক্তে তার চোখ বন্ধ হয়ে আসে। মৃত ভেবে তাকে ফেলে যায়। এমন সময় এক দীর্ঘকায় ভারতী পুরুষ এসে তাকে জিজ্ঞেস করেন, তোমার কি হয়েছে, আমার নাম দিল শাহ, তুমি আমার সাথে আস আমি তোমাকে রক্ষা করবো। ইবনে বতুতার মনে পড়লো কৈশরে উনি স্বপ্নে এই দৃশ্যটাই দেখেছিলেন। সেই লোক নিঃস্ব অসুস্থ বতুতাকে পাঞ্জাবের এক গ্রামে নিয়ে আসেন। জ্ঞ্যান ফেরার পর তাকে আর কোথাও দেখা গেলনা। সেই গ্রামে অথবা আশে পাশের লোকালয়ে কোথাও এই নামের কোন লোক ছিলনা। ইবনে বতুতা সেখানেও থাকলেন না। ডানা মেলে দিলেন সাগরের দিকে। (উনার ২১ বছরের ভ্রমন নিয়া লিখা অমর পুস্তক রিসালাহ, গুগলে সার্চ দিলেই পাওয়া যায়)।

আজকে রাতে বৃষ্টই থামলে ছাদে দাড়ালাম। সাদা মেঘে আকাশ ভর্তি। অনেক উপরের স্তরে বোধহয় খুব জোড়ে বাতাস বইছে। জানি না মনে হয় সাগরে কোন ডিপ্রেশন তৈরি হচ্ছে। মেঘ গুলো প্রচন্ড গতিতে উত্তরে ছুটছে। মেঘ ছুয়ে দেখার প্রবল আকুতি থেকে এই লিখাটা লিখলাম। খুব ব্যাক্তিগত একটা লিখা। নিজের আবেগ আর অনুভুতি গুলোকে একটূ সাজিয়ে বলতে চাইলাম। আমি অনেকক্ষন মেঘ দেখে নিচে নামলাম। মনের মধ্যে একটা গানের কথাই ঘুরছে, মানুষ আমি আমার কেন পাখির মত মন, তাইরে নাইরে নাইরে গেল সারাটা জীবন।

Wednesday, September 3, 2008

ঃঃঃঃঃ মানুষের বিবর্তন এবং সামাজিকতা ঃঃঃঃঃঃ

কয়েকদিন আগের কথা। রাত ১১টার মতো বাজে। আমি রিক্সাকরে বাড়ি ফিরছিলাম। সোনারগাঁ সিগন্যালের মোড়ে দেখলাম ঢাকার বাইরে থেকে খাদ্য বাহী পিক-আপ ভ্যান গুলো কাওরান বাজারে ঢুকছিলো। মোড় ঘোড়ানোর জন্যে স্লো করে। টোকাইদের একটা দল। বয়স সবার গড়ে ১০-১২ হবে। একজন লাফ দিয়ে চলন্ত পিক-আপের পিছে উঠে গেল। তার পরে বস্তার মুখ খুলে খাবার দাবার ফেলে দিল চোখের নিমিষেই, ফুটপাথে থাকা তার গ্যাং এর বাকীরা কুড়িয়ে নিয়ে দৌড়। ড্রাইভার থামানোর আগেই ছেলেটাও দৌরে হাওয়া হয়ে গেল। আমি মিলিটারি একাডেমি থেকে সামরিক ট্রেনিং নেয়া। ১০ বছরের ছেলেটা যেভাবে লাফিয়ে চলন্ত ট্রাকে উঠলো আমি হতবম্ভ হলাম। চালের দাম আক্রা। খাবার না পেলে সব প্রানী খাবার কেড়ে নেবে এবং দরকার মতো অভিযোজিত হবে।

এইচ জি ওয়েলসের “টাইম মেশিন” বইটা সায়েন্স ফিকশান জগতে একটা বিরাট কাজ। টাইম মেশিন নিয়ে পড়ে অনেক ভালো ভালো কাজ হয়েছে যতদুর জানি এটা প্রথম কাজ। তবে আজ পর্যন্ত কাউকে বলতে শুনি নাই যে ওয়েলসের টাইম মেশিন তার প্রিয় বই। কেন? আমার যা মনে হয়েছে বইটাতে ভবিষ্যতের মানব সম্প্রদায়ের করুন পরিণতি দেখানোর জন্যে। সবাই সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, টাইম মেশিন সিনেমার ক্ষেত্রেও তাই। ভবিষ্যতে মানুষের বিবর্তন হবে, দুই প্রজাতির মানুষ তৈরি হবে, একদল মাটির উপরে সুন্দর জীবনযাপন করবে, আর দল মাটির নিচে বর্বর পশুদের জীবনে থাকবে। সুযোগ পেলেই ওদের ধরে খেয়ে ফেলবে। ব্যাপারটা কষ্টের।

ওখানের যা বলেছে ভবিষ্যতের ধনি মানুষেরা জগতের সব সুবিধা পাবে। ওরা পৃথিবীর সুন্দর সুন্দর জায়গা গুলোতে বসত গারবে। ভালো খাবার খাবে, ভালো শিক্ষা, ভালো চিকিতসা ভালো সব কিছুই তাদের দখলে। আর গরীবের দল থাকবে, সাবওয়েতে, ফুটপাথে, ফেলে দেয়া খাবার খাবে, শিক্ষা চিকিতসা ছাড়া বাঁচতে শিখবে। এবং মানুষের ধর্ম যখন কিছুই পাবে না তখন কেড়ে নিতে শিখবে।

মুল প্রসঙ্গে যাবার আগে আরেকটু সায়েন্সের বাগড়াম্বর করি। অনেক আগে এরকম একটা ফিচার পড়ছিলাম কোন জানি ম্যাগাজিনএ। পাশ্চাত্যের লোকজনেরা টেকনোলজি ব্যাবহারে এগিয়ে যাচ্ছে। আর অনুন্নত দেশগুলো পিছিয়ে আছে কয়েক শতাব্দি। এর সামাজিক প্রভাবটা দেখা যাচ্ছে, প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যে। ওরা ভাবে অন্যভাবে, ভালোবাসে অন্যভাবে, খাদ্যাভ্যাস চিন্তা করাও আলাদা। আমরা বলি আমেরিকানরা লুইচ্চা, ইন্ডিয়ানরা কিপটা, ইজরায়েলীরা হার কঞ্জুষ, ব্রিটিশরা গম্ভির, ফরাসীরা উচ্ছৃঙ্খল যৌনতা, আর আইরিশরা লোভী, ইথিওপিয়ার অভুক্ত শিশুদের নিয়ে ফানি কার্টুন দেখার দুর্ভাগ্য আশা করি আমার একার হয়নি। ওই পত্রিকাটা বলেছিল, হয়তো এর ইফেক্ট মানব বিবর্তনে প্রভাব ফেলবে (না ফেলার কারণ দেখি না)। যখন সাগরে খাবার প্রাচুর্যতা কমে গেল আর স্থলে বাড়লো সাগরের প্রানীরা বিবর্তনের মাধ্যমে স্থল চর হলো। মিউজিয়ামে গিয়ে আগেরকালের ঢাল তলোয়ার গুলো দেখলে অবাক হতে হয় এরকম ভয়ঙ্কর হেলমেট আর বর্ম পড়ে ওরা ভিষন দর্শন গদা নিয়ে কিভাবে ফাইট করতো। বিজ্ঞানীরা বলছে মানুষের আকৃতি ছোট হচ্ছে, কানের লতি, এপেনডিক্সের মতো অপ্রয়োজনীয় অংগ নাকি ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে। বায়োলজীতে আমার জ্ঞ্যান খুব কম তাই শিওর বলতে পারছিনা এরা ঠিক কি না। কিন্ত ডারউইনের বিবর্তনবাদ সঠিক হলে মানুষের বিবর্তন না হবার কারণ নাই, আর এই চাওয়া না পাওয়াগুলো এর কারণ হতে বাধ্য। হোমো স্যাপিয়েন্স থেকে জন্ম নেবে নতুন প্রজাতি হোমো সুপেরিয়র। যেই শিশুটা বস্তিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে, শিক্ষা চিকিতসা ছাড়া জন্ম নিয়ে বড় হয়, অখাদ্য কুখাদ্য খেয়ে বড় হয়, এবং খুব বেশি প্রতিভভাবান না হলে তার ছেলে এবং তার ছেলেও একই রকম সুযোগ পায়, তার নাতি আর সমাজের উচ্চস্তরের এক ব্যাবসায়ীর নাতির চেহারা, শারিরিক ক্ষমতা, মেন্টালিটি সব আলাদা হতে বাধ্য। সৌদি রাজবংশের সবাই মোটা মুটি দেখতে একই রকম, ফর্সা, তেল তেলে চর্বি আর ভুড়িওয়ালা। আমেরিকানরা সবাইকেই দেখি বিশাল লম্বা চওরা। আর আফ্রিকা বা এশিয়ার মোটামুটি বেশিরভাগ লোক দুর্বল শারিরিক গঠনের হয় অথবা হচ্ছে।

রোজার মাস। সবাই বাড়িতে হালিম, ছোলা বুট খাচ্ছি, সবাই অবশ্য না। যারা খেতে পাড়ছে না, তাদের সামাজিকতায় আর মানষিকতায় পরিবর্তন আসছে। এরা কম্পিউটার দেখেনি, ব্লগিং কখোনোই করবে না। এরা কম্পিউটার ভাইরাসের কিংবা স্প্যাম মেইল নিয়ে ভাববে না, আর আরেকদল জন্মানোর পর থেকেই জানবে ইলেক্ট্রিসিটি, বাবা মা কে লুকিয়ে কিভাবে কোন চ্যানেলে এডাল্ট শো হয় এরা জানে, চ্যাট করে টিনেজ লাইফ কাটাবে, এরা আরেকদলে।এই পরিবর্তন হয়তো প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বয়ে যাবে। এবং কেড়ে খেতে হবে খাবার না পেলে। তাও না পেলে শিকার করতে হবে। ঈশ্বর ওয়েলসের টাইম মেশিন যেন কখোনো সত্য না হয়।

সুপার হিউম্যানদের নিয়ে অনেক লিখাই পাওয়া যায় নেটে, কেউ ইন্টারেস্টেড থাকলে পড়তে পারেন।
http://en.wikipedia.org/wiki/Superhuman

Saturday, August 30, 2008

ঃঃঃঃঃঃ মধ্যরাতের বৃষ্টী ভেজা আর তেহারী খাবার গল্প ঃঃঃঃঃঃঃ

ঃঃঃঃঃঃ মধ্যরাতের বৃষ্টী ভেজা আর তেহারী খাবার গল্প ঃঃঃঃঃঃঃ

কাল রাতে তুমুল বৃষ্টি হলো,
আমি গিয়েছিলাম তেহারী ঘরে, সোবাহানবাগে। আমার খুব প্রিয় একটা খাবার জায়গা। হাজীর বিরিয়ানীতে তেল থাকে বেশি, স্বাদে সময় অসময় বায়নাক্কা থাকে বেশি, আর ফকরুদ্দীনের বিরিয়ানী আমার কাছে কেমন যেন পানসে পানসে লাগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো। এখন আমাকে আর কিছু বলতে হয়না। খালি একটা চেয়ার দেখে বসে পড়ি। অপেক্ষা করতে হয়না, (মাঝে কিছু দিন অনেক চিল্লা চিল্লি করেছিলাম, তার ফল) চলে আসে প্রথমে হাফ প্লেট তেহারী, কাঁচা পেয়াজ ফালি ফালি করে কাটা আর দু গ্লাস ঠান্ডা পানি। আমি কখোনোই ওখানকার সালাদ খাই না। কেমন যেন গন্ধ লাগে, আর ক্ষীরা টা জ্বালা থাকে। তাই সালাদ দেয়েই না। এর পরে হাফ শেষ না হতে হতে আরেক হাফ চলে আসে, সেটা শেষ করে হাত মুখ ধুয়ে বসতে না বসতেই চলে আসে এক গ্লাস কোকাকোলা।

নিঃসন্দেহে ঢাকার বেষ্ট তেহারী বানায় মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের ভেতরে। কিন্ত হাইজেনিক ইস্যুর কারনে ওখানে লোক যায় খুব কম। ওখানে তেহারী দেয় টিনের প্লেটে আর পানি খাবার সিস্টেম আরো ভয়ানক। সামনে গলির মুখে গ্লাস নিয়ে টিউবওয়েল চেপে খেতে হয়। কিন্ত তেহারী হয় অসাধারণ বেহেস্তি। বেশিরভাগ মানুষেরই পেটে এ জিনিস সহ্য হয় না। কিন্ত আমার পেট হয়তো অমানুষ কিংবা অতি মানুষের।

তেহারী খেয়ে একটা রিক্সা নিলাম। রাত ১১টার মত বাজে। রাপা প্লাজার সামনে ভয়ঙ্ক্র জ্যাম। রিক্সা ওয়ালা নজরুল ভবনের ওদিক দিয়ে চান্সে রিক্সা ঢুকিয়ে দিল, সাতাশ নাম্বার দিয়ে বের হলাম। টিপ টিপ করে বৃষ্টী পড়ছিল, ধানমন্ডি লেকের পাশে জোরে নামলো। পথে লোকজন কমে গিয়েছিল, বৃষ্টী ঝেটিয়ে সবাইকে সরিয়ে দিল, আমার রিক্সাওয়ালা আমাকে পলিথিন সাধলো। আমি নিলাম না। শঙ্করের মাথায় খুব চমতকার একটা দৃশ্য দেখলাম। মোবাইল ফ্যামিলি, বাবা একটা ভ্যান গাড়ি টানছে, আর পিছে গমভির মুখে মা বসে আছে, পাশে তিনটে ছোট ছোট বাচ্চা। বাচ্চাগুলো কোন কারণে খুব মজা পাচ্ছিল, সবচে ছোটটা অকারণ হাসিতে কুটি কুটি। বাকি গুলো একটু পর পর ছোটর সাথে যোগ দিচ্ছিল। হয়তো মাঝরাতের অঝোর বর্ষন ওদের হাসির কারণ। মা একটু পর পর ওদের দিকে চোখ রাঙ্গানী দিচ্ছে, বড় দুটো লাল চোখ দেখে চুপ করে গেলেও সবচে ছোটটা পাত্তাই দিচ্ছে না। সে ক্রমাগত হেসে কুটি কুটি।

শঙ্কর পার হয়ে লালমাটিয়া RABঅফিসের সামনে আসতেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামলো, রিক্সার হুড তুলে দিলাম, কিন্ত রিক্সাওয়ালার কাছে পলিথিন ছিল না। ভিজে একশেষ। আমার গায়ে টেক্সটমার্টের কর্পোরেট শার্ট। এই ড্রেস পরে মিটিং করা যায়, কিন্ত শ্রাবনের ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা...ঠিক মানায় না। ভিজতে অনেক মজা লাগলো, মনে হচ্ছিলো আকাশ যেন ফুটো হয়ে গেছে। পৃথিবী ভাসিয়ে নেবে যেন। মোহাম্মদপুর ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে একজন বাবা মোটর সাইকেল থামিয়ে মসজিদের গেটের নিচে ঢোকার চেষ্টা করছে, সাথে দুই পিচ্চি, মেয়েটা ৭/৮ বছরের হবে, আর ছেলেটা বছর পাঁচেকের, অপু আর দুর্গার ঢাকা এডিশান যেন, বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে, ভেজার জন্যে কারো বকা খেতে হবে না, তাদের মজা দেখে কে। বাবা ভদ্রলোক কিছুক্ষন হতবম্ভের মত তাকিয়ে থাকলেন। বৃষ্টি যে এত ভয়াবহ ভাবে নামবে বেচারা বুঝতে পারেনি। দুই দুষ্টু কে নিয়ে কিছুক্ষন হতবম্ভ হয়ে থাকলেন। বাচ্চাদের মজা দেখে একটু পরেই পশ্রয়ের হাসি হাসলেন, অবিকল বিভুতিভুষনের হরিহর মুখুজ্যের মত।

পুরো ঢাকা শহরের মলিনতা মুছে দিতে যেন তুমুল বৃষ্টি নামলো। সাথে ঢাকের তালের মতো বাজ পড়া, ঠিক ঝর বলা যায়না, শ্রাবন মাসে কি ঝর হয়, বৃষ্টির দিন। তাজমহল রোড আসতে আসতে আমি ভিজে কাঁই হয়ে গেলাম। ভালো লাগলো অনেক, মনের আদ্রতা তবুও থেকে গেল কিছুটা, কেন? সে আরেকগল্প বলা যাবে আরেকদিন। অন্যকোনো রাতে বৃষ্টিতে ভেজার পর।



পরশু রাত (২৮/০৮/০৮) বৃষ্টি শুরু হলো রাত ১১টার একটু পরে, মুশুলধারে বৃষ্টি, রাত তিনটা পর্যন্ত চলে, লেখা টা পরের দিন রাতে লিখা, এখন, নেট লাইন পাচ্ছিনা, কেন কে জানে, কালকে যদি সময় পাই আর নেট ঠিক থাকে, পোস্ট করে দেব।

Saturday, August 9, 2008

Indigenous Day!










আজকে বিশ্ব আদি-বাসী দিবস।





আমাদের দেশে আদি-বাসী আর উপজাতীয় দের মাঝে সবাই গুলিয়ে ফেলে। আমেরিকার সভ্য(?) মানুষেরা যখন পুরো মহাদেশটাই লোপাট করে ফেলল তখন পাইকারী হারে রেডইন্ডিয়ান দের মেরে কেটে তাদের যায়গা জমি সব দখল করে ফেলে, একই অবস্থা আফ্রিকাতেও। সাদা মানুষেরা আদি বাসীদেরকে হটিয়ে দিয়েই দেশটা লুটে নিলো। দক্ষিন আমেরিকার অবস্থা আরো করুণ। সন্দেহ নেই সেই সময়ের মায়ান রা স্প্যানিয়ার্ডদের চেয়ে জ্ঞ্যান বিজ্ঞানে হাজার গুনে সভ্য ছিল। কিন্ত হয়তো ইউরোপিয়ান দের মত ধরিবাজ ছিল না ওরা। এই জন্যেই আজ মায়ারা হারিয়েই গেল। মায়া সভ্যতা অসভ্য ইউরোপিয়ান দের হাতে বিধ্বস্ত না হলে বিজ্ঞান হয়তো অনেক হাজার গুন এগিয়েই যেত ২০০৮ সালে। অস্ট্রেলিয়ান্দের ইতিহাস আরো নির্মম। মাত্র ২০০ বছর লেগেছে তাসমানিয়ান দের কে সমুলে উচ্ছেদ করতে। শুনেছি, ইংল্যান্ডের জেল খানাতে যেই সব বিপদজঙ্ক আসামীদের রাখা কঠিন ছিলো তাদেরকেই নির্বাসনে পাঠাতো ক্যাপ্টেন কুকের নতুন বিশ্বে...।ডাকাত দলের সাথে এলো মহাদেশ এর একমাত্র শ্বাপদ (ডিংগো কুকুর)... বর্তমানে টাসমানিয়ায় আদি-বাসী যারা আছে ওরা মাউরি কিংবা অন্য জাতির লোক।



আমাদের দেশে সাওতাল রা আদিবাসী...। হাজং কিংবা গারোদেরকেও অনেকে আদি-বাসী বলে কিন্ত তাদের মঙ্গোলয়েড চেহারা...চাকমা মারমা, ম্রো, বম দের মতো...। আদি-বাসীদের আর উপজাতিদের উপর লুট-পাট কিংবা নির্যাতন কিন্ত সমান। বান্দারবানএ যত বার গেছি, একি ব্যাপার। ওখানে বাঙ্গালী সেটলার যারা আছে তারা মুলত ছিল দেশের খুব দরিদ্র আর নিঃস্ব লোক। বেচে থাকার জন্যেই ওদের কাছে অপরাধ ছিল ডাল ভাত। ওদেরকে যখন পাহাড়ে খাস জমিতে পাঠানো হলো লুট-পাট করা স্বাভাবিক। যা দেখেছি বাজারের বেশিরভাগ ব্যাবসায়ীরাই বাঙ্গালী, পাহাড়িরা চমতকার মানুষ...বিশেষ করে বম কিংবা ম্রো রা...খুব সহজ সরল লাগছে আমার কাছে ওদেরকে।



সাওতাল কিংবা অন্যান্যদের সাথে তেমন ভাবে মিশি নাই কখোনো।

Tuesday, August 5, 2008

tumi amar koyekdiner ghum na hobar karon hobe....



অনেক দিন পর আবার বৃষ্টি হচ্ছে। এটা যে খুব শুকনা টাইপ বর্ষা গেছে এটা কেউ বলতে পারবে না। আষার মাসটাতে ভালো বৃষ্টি হলো, আর শ্রাবণের প্রথম দিকটাতে তো ঝুম বৃষ্টি, কিন্ত শ্রাবনের মাঝা মাঝি থেকে হঠাত করে যে কি হলো, দিনের বেলা কড়া রোদ উঠে, আকাশ থাকে ঝক ঝকে...শ্রাবণ মাসের আকাশে ধুলা বালি এমনিতেই কম থাকে, এরকম আকাশে অনেক তারা দেখা যায়... লোড -শেডিং এর টাইমে আমি তো এক সন্ধ্যায় ড্রাগন মন্ডলী দেখলাম। একদিনে গভীর রাতে অবাক হয়ে দেখলাম আকশে ছায়া পথ দেখা যাচ্ছে, ঢাকার আকাশে ছায়াপথ অবিশাস্য। গত দুই তিন ধরে আবার ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এখন যেমন রাত দুই টা, পুরো নগরী ঘুমিয়ে পাগল হবার দশা, বাইরে শ্রাবণের অঝর ধারা ক্রমাগত ঢাকা কে ভিজিয়ে দিচ্ছে বারে বার। সারা ঘুমে অস্থির সবাই আর আমি জেগে বসে একা...আজকে বেশ মজা লাগছে। বেশ কিছু দিন ধরে রাতে ঘুম হচ্ছে না। সকালে সূর্য্য উঠার অনেক পড়ে ঘুমাতে যাই, গত কয়েকদিন ধরে সকালে জগিং শুরু করছি, অনেক মজা লাগছে, ধান মন্ডি লেক এর পাশে অনেক লোক জগিং করছে, জীবনকে কতো ভালোবাসে সবাই...মানুষের অসম্ভব শক্তিশালী মন কিংবা আত্মা যেটাই বলি তার পার্মানেন্ট আড্রেস কিন্ত নশ্বর দেহে, তাই আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যত বেশী দিন পারা যায় দেহ টাকে বাঁচিয়ে রাখা লাগবে। কালকে সারা রাত জেগে কাটানোর পরে সকালে পাঁচটায় আলো ফুটলো, আমি অনেকটা রাস্তা বেশ জোরের সাথে দৌড়ালাম, মিলিটারি একাডেমি ছাড়ার এতো বছর পরে শরীরে সেই জোস টা আর নাই, তার পরের চেষ্টা করলাম। ২৭ নাম্বারের মাথায় গিয়ে আর পারলাম না। জোড় কদমে হাটা শুরু করলাম। ধানমন্ডি লেক এর পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে রাইফেলসএর সামনে দিয়ে ফেরত আসলাম জাহাজ বাড়ির পিছের রাস্তা দিয়ে, নজরুলের কবি ভবনের সামনে চা খেতে খেতে গতকালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এক ড্রাইভারের জ্বালাময়ী ভাষন শুনলাম, ড্রাইভার লোকটা মনে হয় আওয়ামী লীগার, কঠিন বক্তৃতা দিয়ে সরকারকে তুলা ধুনা করলো, বাসায় এসে না ঘুমিয়ে নয়টায় ক্লাসে গেলাম আলেনকে নিয়ে। সেমিস্টার ড্রপ করছি, সবাই নতুন মুখ, এই ব্যাচ এর পোলাপান বোধ হয় সবাই ঘাগু টাইপ স্টুডেন্ট, আপ্লাইড স্ট্যাট এর মত সাবজেক্টেও দেখলাম ক্লাশে সবার দুর্ধষ পার্ফরমেন্স। বরিশাইল্যা সুমন আগে আমদের ব্যাচ এ ছিল, আইএলটস করার জন্যে ও আগে সেমিস্টার ড্রপ দিছলো, এখন তাই একমাত্র ওকে পেলাম। অনেকক্ষন কথা হলো, ও পরিচয় করে দিচ্ছিল, মেয়েদের ব্যাপারে দেখি ওর কমেন্টসগুলো খুব অদ্ভুত, ওইযে সুন্দরমত মেয়েটা দেখছিস ও হচ্ছে আমাদের ফার্স্ট গার্ল, ইস্টওয়েস্টের এক পোলার সাথে অনেক দিন রিলেশন ছিল, এখন নাই...।ফাউল মেয়ে। আমি বিরক্ত প্রকাশ করাতেই বলল হ্যা তোর মত যেই সব পোলাপান বলে যে গার্লফ্রেন্ডের মোবাইল বিজি থাক্তেই পারে তাদের সাথেই এইসব হয়। আরে আমি বয়ফ্রেণ্ড একটা মেয়ের আর কি বিজিনেস? আমি কি আর করি, একটু রক্ষনাত্মক হয়ে বললাম হ্যা রাত বারোটার পরে বিজি পাইলে একটা কথা কিন্ত দিনের বেলা ওর কাজ থাকতে পারে না? আজকাল খুব কম পাবলিকই তো খালি পড়াশুনা করে, সবাই মোটামুটি পড়াশুনার পাশাপাশি, পার্টটাইম অর অন্য কিছু করছে...সুমন বিশাল কাহিনী বলল, স্ট্যামফোর্ডে নাকি ওর এক ফ্রেন্ড আছে, যার গার্লফ্রেন্ড একদিন ওদের ফ্রেন্ড আড্ডায় আসছিলো, ওখান থেকে ইস্টওয়েস্টের আরেক ফ্রেন্ডের নাম্বার নিছলো, এর পর থেকে নাকি ওই ছেলে দেখে প্রায় রাতেই মেয়ের মোবাইল বিজি থাকে, তাই ওই ছেলে ঠিক করলো একদিন ওই ছেলে ওকে ফলো করা শুরু করলো। একদিন সব বন্ধু নিয়ে ফলো করছিলো, দেখলো মেয়েটা ওর সেই ফ্রেন্ড (ইস্টওয়েস্টের) নিয়ে ইয়াম ইয়ামএ ঢুকছে, ওই ছেলে ঢুকে সবার সামনে মেয়েটাকে থাপ্পড় মেরে চলে আসছে। সুমন খুব গর্বের সাথে ওর ফ্রেন্ডের কাহিনী বল্লো, আমি বললাম, তুই কিছু বললিনা? সে দেখি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে...।


সুমন কে নাকি পল্লবীতে প্রায় দেখা যায় বাইকের পিছে একটা মেয়েকে নিয়ে ঘুড়তে। সুমনের গার্লফ্রেন্ড মেয়েটাকে আল্লাহ রক্ষা করুক। যদি রিলেশান না টিকে, চুকিয়ে দিয়ে দুই জন দুই দিকে চলে যাক...মারা মারি করা কি? অনেক দিন দুজনেই কষ্টের মধ্যে থাকবে। তুমি আমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবে, আমি তোমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবো, ধীরে ধীরে সব ভুলে যাবে...ধীরে ধীরে সব ভুলে যাব...ভুলে যাবার আগের সময়টা অনেক কষ্টের কিন্ত জীবন তো থেমে থাকার নয়।

Friday, August 1, 2008

Nisshongo bochon. নিস্বঙ্গ বচন

ঃ ঃঃঃঃ ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
আজকের দিনটা অবশ্যি আমার জন্যে অনেক আলাদা। ভয়াবহ অসহায় আর পরিত্যাক্ত লাগছে নিজেকে...ঘুমিয়েছি শেষ কবে? পরশু দুপুরে...এরপরে থেকে টানা জেগে আছি...আমি একা।।

ভালো লাগছে না কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিজেকে অনেক বেশি শস্তা আর খেলো লাগছে নিজের কাছেই। কেন এমন হয়। পৃথীবীটা কি শুধুই স্বার্থের জন্যে। নিঃস্বার্থ কিছুই নেই হয়তো। দূর নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে না। লিখাটা হয়তো পোস্ট করবো না কোনো দিনেও, হয়তো করলে ডিলিটও করতে পারবোনা কোনোদিনও। অনেক দিন পরে অনেক মাস বছর কিংবা হতে পারে সপ্তাহ পরেই হয়তো সব ভুলে যাব। তখন এই লিখাটার কোনো অর্থই থাকবেনা আমার কাছে। এটা এই আমির জন্যে আমার সান্তনা। মায়াভরা দুই হাত মেলে ধরবেনা কেউ আমার দিকে কখোনো, যদি ধরে সেটা এই আমি নিজেই।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
আজকে অগাস্ট মাসের ১ তারিখ।

Tuesday, July 29, 2008

শহরে একজন দেবদুত SHOHORE EKJON DEBDUT

শহরে একজন দেবদুত একজন LOVE GURU আর এক কোটি ক্রীতদাস

তোমার আমার এই শহরে
একটা বাউল পাগল করে

মাতাল সুরে নাচে

মোবাইল ফোনে কোকিল পাখি
মেঘের সুরে কাদতে বাকি

মিছেই ডাকে কাছে

এই শহরের পথের বাকে
কয়লা চুনে আকাশ আকে

হাতছানি দেয় কিছু

অনেক দুরের গাইয়া সুরে
উড়িয়ে নেবে অনেক দুরে

রয়না চেয়ে পিছু

....................................................................

লিখাটা কারোরেই কাছ থেকে তেমন প্রসংসা পেলোনা। কেন বুঝলাম না? আমার নিজের খুব ভালো লেগেছে। এরচে অনেক বিলো স্ট্যান্ডার্ডের লিখা সবাই কতো প্রসংসা করেছে। হয়তো আমি আমি যা ভেবে লিখেছি বাকীরা সেই প্রভাবটা দেখতে পারেনি।

এ শহরের কাঠিন্যের সামনে একজন মহান দেবদুতের আগমন হবে। বিশাল বেহেস্তি ডানা মেলে সে সবাইকে আগলে ধরবে। সবার কষ্ট হয়তো মিটিয়ে দিতে পারবে না। কিন্ত সবাইকে সে ভালোবাসবে, সে সবার আপনজন হবে। যেই বাবা অর্থের অভাবে তার ছেলের চিকিতসা করতে পারবেনা, সমস্ত জগত যার কাছে খুব দরিদ্র মনে হবে তার দিকেও সে তার ভালোবাসার ডানা মেলে দিয়ে বলবে, আমি তোমার আপনজন। হয়তো লাখখানেক টাকা এনে দিতে পারবে না। কিন্ত ভালোবাসবে।