Tuesday, July 29, 2008

শহরে একজন দেবদুত SHOHORE EKJON DEBDUT

শহরে একজন দেবদুত একজন LOVE GURU আর এক কোটি ক্রীতদাস

তোমার আমার এই শহরে
একটা বাউল পাগল করে

মাতাল সুরে নাচে

মোবাইল ফোনে কোকিল পাখি
মেঘের সুরে কাদতে বাকি

মিছেই ডাকে কাছে

এই শহরের পথের বাকে
কয়লা চুনে আকাশ আকে

হাতছানি দেয় কিছু

অনেক দুরের গাইয়া সুরে
উড়িয়ে নেবে অনেক দুরে

রয়না চেয়ে পিছু

....................................................................

লিখাটা কারোরেই কাছ থেকে তেমন প্রসংসা পেলোনা। কেন বুঝলাম না? আমার নিজের খুব ভালো লেগেছে। এরচে অনেক বিলো স্ট্যান্ডার্ডের লিখা সবাই কতো প্রসংসা করেছে। হয়তো আমি আমি যা ভেবে লিখেছি বাকীরা সেই প্রভাবটা দেখতে পারেনি।

এ শহরের কাঠিন্যের সামনে একজন মহান দেবদুতের আগমন হবে। বিশাল বেহেস্তি ডানা মেলে সে সবাইকে আগলে ধরবে। সবার কষ্ট হয়তো মিটিয়ে দিতে পারবে না। কিন্ত সবাইকে সে ভালোবাসবে, সে সবার আপনজন হবে। যেই বাবা অর্থের অভাবে তার ছেলের চিকিতসা করতে পারবেনা, সমস্ত জগত যার কাছে খুব দরিদ্র মনে হবে তার দিকেও সে তার ভালোবাসার ডানা মেলে দিয়ে বলবে, আমি তোমার আপনজন। হয়তো লাখখানেক টাকা এনে দিতে পারবে না। কিন্ত ভালোবাসবে।

Saturday, July 26, 2008

ভুমি-কম্প VUMIKOMPO


একটু আগে ভুমি কম্প হলো। ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না, আমি বিছানায় মোমের আলোতে বই পড়ছিলাম। হঠাত মনে হলো কে জানি বিছানায় ধাক্কা দিল, বিছানাটা একটু দুলে উঠলো। সাথে সাথে বুঝতে পারলাম ভুমি কম্প। প্রথম টা বেশ জোরালো একটা ঝাকুনী ছিল। আমি লাফিয়ে উঠে বসতে গিয়ে টের পেলাম আরো ২টা আফটার শক। বেশ জোড়ালো ছিল।

পিঠের কাছে মেরুদন্ড বরাবর শীতল একটা স্রোত বয়ে যায়। মজা লাগে। অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো।

Wednesday, July 23, 2008

Vule Jawa manushder kotha ভুলে যাওয়া মানুষদের কথা


আজকে ২৩ জুলাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তান জেলে বন্দী, একটা জাতি কে আরেকজনের ইমেজের সামনে রেখে একতা বদ্ধ রেখে একটি রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সহজ নয়। আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া ভারতের অভ্যন্তরীন পলিটিক্স এবং চাপ ছিল, নির্বাসিত সরকারও আন্তঃদলীয় রাজনীতির উর্ধে ছিল না। একটা বইএ পরেছিলাম কলকাতায় নির্বাসিত সরকারের একজন মন্ত্রী নাকি সিআইএর সাথে কলকাতায় গোপন বৈঠক করে ( সন্দেহের তীরটা যায় খোন্দকার মোশতাকের দিকেই)। ভারত সরকারও দির্ঘদিন মুক্তিবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ছিল। একটা কনভেনশনাল আর্মির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে স্বভাবতই তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। আর ছিল ভয় হয়তো যুদ্ধ দির্ঘদিন চললে এক সময় মুক্তিযোধারা হতাশ হয়ে ফ্রন্টলাইন থেকে সরে আসতে চাইবে, এবং অর্থের জন্যে অস্ত্র গোলাবারুদ নকশাল কিংবা অন্যান্য কমুনিস্ট সন্ত্রাসপন্থীদের হাতে ছলে যাবে। বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনী কিংবা সরকারের ভেতরেও ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ। যুদ্ধের শেষের দিকে জন্ম নেয় মুজিব বাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকার যার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতো না অনেক দিন। শুনেছি এমনও নাকি দিন গেছে প্রোপার ইনফর্মেশনের অভাবে মুক্তি বাহিনী আর মুজিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। তরুণ আওয়ামী উগ্র পন্থিরা নাকি দাম্ভিক ভাবে বলে বেড়াতো আমরা মুজিব বাহিনী বঙ্গবন্ধুর লোক, আর মুক্তিবাহিনী তাজুদ্দিনের লোক, আমরা বেটার। এগুলো পেয়েছিলাম এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি বইটায়। ওখানে পড়েছিলাম একদিন বাংলাদেশ এম্বেসি তে একজন তরুন আওয়ামি লীগ নেতা আসলেন। বললেন তাজউদ্দিন সাহেবের সাথে দেখা করবেন। উনার পিএ জিজ্ঞেস করলেন আপনার আপয়ন্টমেন্ট আছে? উনি বললেন কিছু লাগবে না, আপনি আমার নাম বলেন। পিএ ভেতর থেকে এসে জানালেন। স্যার একটা মিটিং এ আছেন, আপনি অপেক্ষা করুন, মিটিং শেষে আপনার সাথে দেখা করবেন। সেই নেতা ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, এভাবে অপমানিত হবো জানলে আসতাম না। বঙ্গবন্ধুর প্রধান সহচর এবং দক্ষ এডমিনিস্ট্রেট্র হলেও নেতা হিসাবে খুব একটা গ্ল্যামারাস ছিলেন না উনি। হয়তো একারনেই সব সময় লাইম লাইটের আড়ালে থেকে পরিশ্রম করার কারনেই সুফল ভোগের মুহুর্তে উনি থাকতেন না। এজন্যেই হয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু আর উনার মাঝে বিভেদ তৈরি করতে পেরেছিলেন। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উনি বলেছিলেন, আমি কৃতজ্ঞতা থেকেই মুজিবের মন্ত্রি সভা থেকে পদত্যাগ করবো না। উনাকে আমাকে বরখাস্ত করতে হবে। সভ্য সমাজ হতবম্ভ হয়ে যায় যখন শোনে একটা জাতির মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী নেতাটাকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয়।



উইকিপিডিয়া থেকেঃ

Tajuddin Ahmad (Bengali: তাজউদ্দিন আহমেদ)(1925 - November 3, 1975) was a Bangladeshi politician who was one of the most prominent leaders of the Awami League. A statesman of a lofty magnitude, he successfully headed the government at Mujibnagar during the Bangladesh Liberation War. He was instrumental in forming the first government of the Peoples' Republic of Bangladesh on April 10, 1971.When Mujib assumed the title of president and banned other political parties in 1975, Ahmad opposed the forming of one party system known as BAKSAL. When Mujib was assassinated by a group of army officers on 15 August 1975, Ahmad was house arrested on the very same day. Later on August 22, he was arrested with other political leaders by the regime of the new president Khondaker Mostaq Ahmed and imprisoned at the Dhaka Central Jail. On November 3, in what became infamously known as the "Jail killings," Ahmad along with Syed Nazrul Islam, A. H. M. Qamaruzzaman and Muhammad Mansur Ali were killed by a group of army officers, by the direct instruction of Khondakar Mushtaq Ahmed. The recent release(March 25 2007) of a widely acclaimed documentary, Tajuddin Ahmad: An Unsung Hero (directed by Tanvir Mokammel) reflects a growing interest in the life and works of Tajuddin Ahmad.



Tuesday, July 22, 2008

সুপারস্টারের আগমণ।



কাল থেকে কলম্বো সিংহলীজ স্পোর্টস গ্রাঊন্ডে শুরু হবে ইন্ডিয়া শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। লাইম লাইট কোথায়? এদিকে ইংল্যান্ড-সাউথ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজটা অনেক জমেছে, ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা টেস্ট নিয়ে সারা ওয়ার্ল্ডে এতো মাতা মাতি কেন? উত্তরটা হচ্ছে, অভিষেকের আগেই সুপারস্টার হয়ে যাওয়া এক চ্যাম্পিয়ান আসছে ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড মাতাতে।


শচীন টেন্ডুল্কার আছে। আর মাত্র ১৭২ রান করলেই আমার ফেভারিট ব্রায়ান লারাকে টপকে যাবে সবচেয়ে বেশি টেস্ট রান সংগ্রাহক হিসাবে। মুত্তিয়া মুরালীধরণ, চামিন্ডা ভাস, সাঙ্গাকারা, জয়বর্ধনে, দ্রাবির, গাঙ্গুলী সবাইকে টপকে পুরা লাইম লাইট নিজের দিকে ধরে রেখেছে জ়য়ন্ত ডি সিলভা। মজার কথা এখনো যার টেস্ট অভিষেক হয়নি। ভারতের ক্যাপ্টেন ধোনীর পুরা পুরি গেম প্ল্যান সিলভাকে নিয়ে। ভারতীয় চ্যানেল গুলোতে রিটায়ার্ড খেলোয়াররা একের পর এক প্ল্যান দিচ্ছে, কিভাবে জয়ন্তকে খেলতে হবে। আজ পর্যন্ত মনে হয় অভিষেকের আগে কোনো খেলোয়ারকে নিয়ে এতো মাতামাতি হয়নি। লাস্ট এশিয়া কাপে বল হাতে জয়ন্ত সিলভার যে অতিমানবিক পার্ফমেন্স ছিল তার কোনো তুলনা নেই। দেখা যাক কাল কি করে?


Friday, July 18, 2008

BiriShiRi, a journey to remember অগস্ত্য যাত্রা বিরিশিরির পথে

গতকাল রাতে বিরিশিরি থেকে ব্যাক করলাম। অসাধারন একটা ট্যুর হলো। মজা লাগছে অনেক, দেখার মতো খুব বেশী কিছু পাইনি কিন্ত পুরো ট্যুরটা মজার হলো আমাদের অসাধারন যাত্রার জন্যে। আলেন এর আমার বাড়িতে আসার কথা ছিল সকাল নয়টার মধ্যে। সকাল সাড়ে দশটায় ও ফোন করে বললো ও বের হতে পারছেনা ভয়ানক বৃষ্টি বাইরে। যাইহোক আমরা বের হলাম ১২টার পরে। আমরা মহাখালি বাস স্ট্যাণ্ডএ গিয়ে দেখি বিরিশিরির একটাই বাস কাউন্টার জিন্নাত পরিবহন। ওটা কেমন বাস জানিনা। বাস কাউন্টারের লোকটারও কথা বলার অসীম অনাগ্রহ। টিকেট চাইলাম বল্লো, আমরা টিকেট বেচিনা, বাস এ উঠে টিকেট করবেন, তাইলে টিকেট কাউন্টার কেন বানালো কে জানে? যাইহোক একটা নেত্রকোনার বাসের টিকেটওয়ালা ভুজুং ভাজুং মেরে তাদের বাসে উঠায় দিল। ভালো সীট পেলাম, ড্রাইভারের পিছেরটাই। ড্রাইভার লোকটা নতুন। হেল্পার আর সুপারভাইজার দুইজন মিলে তাকে বকাঝকা করছিল। বেচারা প্যান্ট না পরে লুঙ্গি পরে বাস চালাচ্ছিল। আমরা শ্যামগঞ্জে বাস থেকে নামলাম ৬টা বাজার একটু আগে। শ্যামগঞ্জ থেকে রিক্সা নিয়ে একটু এগিয়ে গেলে বিরিশিরির রাস্তা, ওখান থেকে বাস ছাড়ে, বাসএর দেখলাম করুন অবস্থা, ভিতরে এত মানুষ, তিল ঠাই আর নাহিরে, আমরা ছাদে উঠতে চাইলাম, হেল্পার ব্যাটা দিল না। শুনেছি ওখানে নাকি মোটর সাইকেল ভাড়া পওয়া যায়। ড্রাইভারের পিছে বসে যেতে হয়। হুমায়ন নামের একলোক, যে গাজিপুরে শ্রমিকের কাজ করে, আমাদের বললো, বাইকে যান, ১০০ টাকা লাগবে, বাইক ওয়ালা ৩০০ টাকার কমে রাজি হয়না, মুড মারে, রেগে গিয়ে বললাম থাকো তুমি গুর মুড়ি খাও, আমরা যাই, এমন সময় দেখলাম একটা ট্রাক যাচ্ছে, পিছে বালু ক্যারি করে, এখন খালি, আমাদের হুমায়ন মামা আর আরো কিছু শ্রমিক টাইপ লোক উঠেছে, আমরাও লাফ দিয়ে ট্রাক এ উঠে গেলাম। ট্রাক হচ্ছে পথের রাজা, হেভি মজা হলো, কিন্ত রাস্তা ছিল অতি খারাপ, অতি অতি খারাপ, কার্পেটিং উঠে গেছে, মাঝে মাঝে ইটের রাস্তা, ট্রাক চলেও মাস্তান স্টাইলে, তাই ঝাকুনিতে আমাদের পেটের ভাত চাউল হয়ে যাবার দশা। কিন্ত আশেপাশের দৃশ্য এতোই সুন্দর, চারপাশে খালি বিল, আমরা যখন আড়িয়া বাজারে আসলাম তখন প্রায় সাড়ে সাতটা বাজে। হুমায়ন মামার সাথে কথা হলো, উনার প্রফেশন হচ্ছে, উপকারি। এক্সপ্লেইন করি, গ্রামে কেউ কোনো ঝামেলায় পড়লে উনি তার হয়ে কোর্টে মামলা করে দেন, ধুরন্ধর মামলাবাজ মানুষ, এখন গাযিপুরে কি একটা গার্মেন্টসে কাজ করে। আড়িয়া বাজার গ্রামটার করুনদশা।কিন্ত পাশেই বিশাল সোমেশ্বরি নদি, সিলেটের ক্বীন ব্রীজের মতো অতি সুন্দর একটা লোহার ব্রীজ, খুব সুন্দর। আমি হুমায়ন মামার সাথে গায়ে পরে খাতির করলাম, মাম্লাবাজ মানুষ, আর বাড়ি বিরিশিরি। উনার সাথে ব্রীজ পার হলাম। জাঞ্জাইল নামের একটা জায়গা গন্তব্য। আগে বিরিশিরি ডাইরেক্ট বাস যেত, কিন্ত বন্যায় জাঞ্জাইল ব্রীজ ভেঙ্গে গেছে, বাস গুলো জাঞ্জাইল পর্যন্ত যায় এখন। রিক্সা ওয়ালারা টুরিস্ট দেখে অনেক ভাড়া চাচ্ছিল, হুমায়ন মামা না করে দিল, আমরা হেটে গেলাম জানজাইল ঘাটে, আলেন এর হাটা হাটির অভ্যাস নাই, ও ফোনে কোনো একটা মেয়ের সাথে চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছিল, তাই দুতই চলে এলাম জাঞ্জাইল খেয়া ঘাটে, খেয়া নৌকা সার্ভিস, অনেক লোক, অন্ধকার। আমরা নদী পার হয়ে আসলাম আরেকটা জায়গায় নাম শুকনাকড়ি, কাদায় ভরতি খেয়াঘাট। ওখানথেকে আমরা মোটর সাইকেল ভাড়া করলাম। মোটর সাইকেল ওয়ালা, এর পরে আলেন, আমি তার পিছে হুমায়ন মামা, একটা রোগা ভোগা মোটর সাইকেলএ আমরা ৪ জন। নির্জন রাত, ব্রিজ ভাঙ্গা তাই এদিকে কোনো যানবাহন নাই, রিক্সা,ভ্যান আর মোটর সাইকেল ছাড়া। উড়ে যাওয়া যায়, কিন্ত রাইডার জামাল মামা খুব স্লো চালালো, আমরা রাত সাড়ে আটটায় পৌছালাম আত্রাইল বাজার। ওখানে রেস্টুরেন্টে চা-ডালপুরি খেয়ে YMCA রেস্টহাউজে উঠলাম। আমি গোসলের জন্যে শাওয়ার অন করতেই কারেন্ট চলে গেল, কিন্ত গোসল করে অনেক আরাম পেলাম। সাড়ে দশটার দিকে ডিনার করতে গিয়ে দেখি সব দোকান বন্ধ। গ্রামের বাজার রাত দশটা অনেক রাত। একটা দোকান পেলাম, খাবার কিছুই নাই, মুরগির ঝোল আর আলু (গোস্ত শেষ) দিয়ে ভাত খেয়ে চলে এলাম। চারিদিকে অনেক ঝিঝি পোকা।

সকালে আমরা ঘুম থেকে উঠলাম অনেক সকাল সাতটার মধ্যে। আতরাইল বাজারে ব্রেকফাস্ট করলাম। একেতো রাস্তা বন্ধ তার উপরে এই ঘোর বর্ষা আর প্লাবনে টুরিস্টরা সহজে আসে না। তাই বাজারের লোকজনের নাস্তার মেনু দেখে বুঝলাম ওরা টুরিস্ট আশা করে না এই মৌসুমে। খাওয়া শেষে তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো আমরা কিছুক্ষন মনের আনন্দে ভিজলাম। এই জায়গাতে পাহাড়িদের সংখ্যা অনেক বেশি। পাহাড়ি-বাঙ্গালীদের সহবস্থান সুন্দর। বান্দারবানে গিয়ে দেখেছিলাম বাঙ্গালীরা পাহাড়িদের মাথার উপরে ছড়ি ঘোরায়। এখানে তা নেই। সকালেই দেখলাম বাঙ্গালী রিক্সাওয়ালা আর পাহাড়ি সওয়ারি। যাই হোক আমরা জালাল মামার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম। জালাল মামা রাতে ক্ষ্যাপ নিয়ে ময়মন সিংহ গেসলেন। আসলেন সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে। কালকেই আমরা সারাদিনের জন্যে তার বাইক ভাড়া করেছিলাম। ঠিক হয়েছিল সারাদিন বাইক আমরা চালাবো আর উনি গাইড হিসেবে আমাদের পথের ডিরেকশান দেবেন। আমরা প্রথমে বিরিশিরি বাজারের মধ্যে দিয়ে গেলাম কংশ নদীর তীরে। আষারে প্লাবনে নদীর তুলকালাম অবস্থা। এপাশে অনেক বালু, বীচের মতো, বাইক টেনে নেয়া যায়না। আর ওদিকে ভয়ঙ্কর ভাঙ্গন লাগছে। বাড়ি ঘর, রাস্তা, সুপারি বাগান সব কংশ নদীর গর্ভে চলে যাচ্ছে দ্রুত। আমরা খেয়া নৌকায় উঠলাম, ৩ জন মানুষ আর ১টা বাইক, জনপ্রতি ২ টাকা ভাড়া। নদীতে দেখলাম হাজার হাজার মানুষ। পুরুষ, মহিলা, শিশু বৃদ্ধ সবাই পোলো জাল ফেলেছে। প্রথমে ভাবলাম মাছ ধরছে। কিন্ত সহযাত্রীরা বললো এ নদীতে মাছ খুব একটা নেই। গত বছর নাকি একটা বিশাল মসুর মাছ ( পাহাড়ি নদীতে পাওয়া যায়, পাইক জাতীয় মাছ, কেউ বলে মহাশোল) ধরা পরেছিল, যেটা চৌদ্দ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। আসলে লোকজন মাছ না কয়লা ধরছিল। এই নদীটা আসলে একটা বিশাল কয়লা খনি। পানির স্রোতে বালুর স্তর থেকে কয়লা বের হয়। তাকিয়ে দেখি সত্যি তাই। নদীর বালুতে অযুত নিযুত কয়লার টুকরা। এগুলো প্রাকৃতিক কয়লা। খুব সহজ আহরণ পদ্ধতি, নদী থেকে কুড়িয়ে নিয়ে স্তুপ করে শুকাও এরপরে ভ্যানে করে আড়িয়া বাজার, সেখান থেকে ট্রাকে করে সারা দেশে ছড়িয়ে যায়।
এতোক্ষন ঝিরঝিরে বৃষ্টি এখন তুমুল বর্ষন হলো। মাঝি আমাদের এক্সট্রা খাতির করে ছাতা দিল, কিন্ত ছাতা খোলার কথা ভুলে গেলাম। দূরে আকাশে ২ টা রঙ। মেঘে ঢাকা কালচে আকাশ, ঠিক নিচে সকালের উজ্জল রুপালী। কঠিন একটা স্ন্যাপ নিলাম। দূরে সোমেশ্বরি আর ঢেপা নদী মিলে গেছে। ওই দুইটা আলাদা নদী হলেও আসলে কংশ থেকে উতপত্তি। আমরা নদীর ওপারে পৌছে কঠিন সমস্যায় পড়লাম। শরীরে একটা ইঞ্চিও শুকনা নেই। কিন্ত আমাদের হাতে সময় বেশি নেই। তাই বৃষ্টি কমার জন্যে বসে থাকার উপায় নেই। বাইক টানতেও এখানে অনেক সমস্যা। রাস্তা ঘাট সব কংস নদীর পেটের ভেতরে চলে গেছে। গ্রামের জমির আইল, বাড়ির উঠান, সব্জী খেত কিংবা সুপারী বাগানের মধ্যে দিয়ে পায়ে চলা বিকল্প রাস্তা। একহাটু কাদা। বাইক চালানো ভয়ঙ্কর কঠিন। তবে আধা ঘণ্টার মধ্যেই আমরা শিবগঞ্জ পাকা রাস্তা পেলাম। কার্পেটিং ক্ষয়ে গেছে কিন্তু কাদায় স্কিড করার ভয়তো নেই, ফোর্থ গিয়ারে দিয়ে বাইক উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছি। পথে চমতকার একটা স্তম্ভ চোখে পড়লো, কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারে না এটা কি, লিখা আছে হাজাং মাতা স্মৃতি স্তম্ভ উদ্ধোধন করেছেন কুমুদিনি হাজং। কিন্ত এই হাজং মাতার পরিচয় জানতে পারলাম না। আশে পাশের কোনো স্কুল পালিয়ে আসা কিছু পাহাড়ি বখা ছেলে লুকিয়ে সিগারেট খাচ্ছিল, আমাদের দেখে লজ্বা পেয়ে চলে গেল। ওরাও কিছু বলতে পারলো না কেউ এই হাজং মাতা। আমরা BOP দেখলাম। পাহাড়ের ওপরে ছোট্ট একটা বিডিআর ক্যাম্প, ওপাশে ইন্ডিয়া। পাহাড়িরা মনে হলো বর্ডার মানে না। যাতায়াত করছে সমানে। এর পরে গেলাম গুচ্ছ গ্রাম দেখতে, গারোদের গ্রাম। রাস্তায় সাদা সাদা কিছু পাহাড় দেখলাম। আমাদের গাইডের কাছে এগুলো দর্শনীয় কিছু মনে হয়নি তাই বলে নি। শুনলাম আসলে এগুলো চিনা মাটি, মাটি কেটে ঢাকায় কারখানায় পাঠায়, পরে এগুলো দিয়ে চিনা মাটির বাসন কোসন তৈরি হয়। কিছু কিছু মাটি আবার লাল, নীল হরেক রঙের। একটা জায়গায় ২টা টিলার মাঝে এক চিলতে রাস্তা। এক্সিলেটর বাড়িয়ে রেখেছিলাম যাতে টান মেরে টিলায় উঠে যেতে পারি। সাদা চিনা মাটির রাস্তা, ভয়ানক পিচ্ছিল, পিছের চাকা স্কীড করলো। বাইক নিয়ে ধপাস। আমাদের নেভিগেটর জামাল মামা বিপদ দেখে লাফিয়ে নেমে গেছে, আলেনও ভালো ব্যাথা পেয়েছে। আর আমার ডান পায়ের শিন বোনে বাইকের বাম্পার ধাক্কা দিল অনেক জোরে, সাথে সাথে জায়গাটা কালো হয়ে ফুলে উঠলো। আর কাফ মাসলের সাথে গরম সাইলেন্সার লাগলো, সাথে সাথে চামড়া উঠে গেল, এমন জায়গা চারপাশে খালি চিনা মাটির পাহার, পানি দিয়ে ধোবো এই উপায় নাই। কিছুদুরে একটা বাজারে গিয়ে চা খেলাম আর পা ধুলাম পানি দিয়ে। দগ দগে ক্ষত হয়ে গেছে। আমরা গুচ্ছ গ্রাম যেতে পারলাম না। বন্যায় রাস্তা ডুবে গেছে। ফিরে এলাম একি পথ ধরে কংস নদীর উপর দিয়ে। বিরিশিরি বাজারে গিয়ে লাঞ্চ করলাম। এর পরে বাইক নিয়ে গেলাম গারো পাহাড়ে, দেখার মতো কিছুই পাইনি সত্যি কিন্ত জার্নি টা ছিল অনেক মজার। কাদায় গারো পাহাড়ের অবস্থা শেষ এর মাঝে বাইক টেনে ঊঠা কঠিন। দূরে একটা রাস্তা দেখলাম, পাহাড় কেটে বানানো ছবির মতো রাস্তা। ওটা ভারতের মধ্যে, ভবানীপুর কলকাতা ডাইরেক্ট রাস্তা।
আমরা ফেরার পথে জামাল মামাকে বললাম সুসং দুর্গাপুর মহারাজের বাড়ি দেখবো, এই মহারাজা অনেক বিখ্যাত ছিলেন, তার কথা সবাই জানে। গিয়ে দেখি তার বাড়ি এখন সরকারী গার্লস স্কুল। স্কুল ছুটি তাই তালা মারা, ঢুকতে পারলাম না। ফেরার পথে কমরেড মনি সিংহে স্মৃতি স্তম্ভ দেখতে গেলাম। একটা বাড়ির মধ্যে দিয়ে রাস্তা ছিল, এখন বন্ধ। হাটু কাদা পাড়ি দিয়ে অনেক কষ্টে স্তম্ভের গোরায় এসে হাজির হলাম। অনেক সুন্দর। পাশে লিখা আছে টুঙ্কা বিপ্লবের স্মরণে। কমরেড মণি সিংহ ছিলেন প্রখ্যাত হাজং নেতা আর কমুনিস্ট। সুসং দুর্গা পুরের মহারাজা ছিলেন তার মামা। কিন্তু তেভাগা আন্দোলনের নেতা মণি সিংহ মহারাজার ধান ভাগ করে কৃষকদের ঠকানোর ব্যাপারে আন্দোলন শুরু করলেন। অনেক হাজং এবং গারো নেতা এখানে শহীদ হন। তাদের টুঙ্কা (হাজং ভাষায় টুঙ্কা মানে তেভাগা) আন্দোলনের মুখে পরক্রমশালী সুসং মহারাজা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। আমরা ফিরে আসার পথে দেখলাম একজন লোক গরু চড়াতে এসে মোবাইলে কথা বলছে। সত্যি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

সব শেষে আমরা গেস্ট হাউজে ফিরে এসে ডলে একটা গোসল দিলাম। ফ্রেশ হয়ে মুল রাস্তায় উঠলো আলেন আর জামাল মামা। আমি আসতে আসতে দেখলাম ঠিক রেস্ট হাউজের সাম্নেই একটা আদিবাসী কুটির শিল্প কারখানা। ভিতরে গিয়ে ওদের তাত ঘরের ছবি নিলাম। পুরো টুরটাতেই আদি বাসীরা কেউ ছবি তুলতে পার্মিশান দেয়নি। যেই দিদি বিক্রি করছিল উনাকে বলতেই ছবি তুলতে দিলেন। দিদির একটা বছর পাচেক এর মেয়ে আছে। ওর ছবি তোলার সময় আমি আর দিদি অনেক চেষ্টা করেও ওকে হাসাতে পারলাম না। রাগি রাগি চেহারা করে লেন্সএর দিকে তাকিয়ে থাক্লো। মোটর সাইকেল এ চেপে বসলাম। এটা পাকা রাস্তা, হাইওয়ে। কিন্তু ব্রীজ ভাঙ্গায় কোনো যানবাহন নেই বাইক ছাড়া। আলেন বাইক জাস্ট উড়িয়ে নিয়ে এল। পিছনে পরে থাকলো অদ্ভুত সারল্যে ভরা একটা জনপদ। বাঙ্গালী পাহাড়ি মিলে বৈচিত্রময় একটা জগত।

Tuesday, July 15, 2008

শাওন রাতে যদি Shaon rate jodi



শাওন রাতে যদি... কি জানি একটা গান আছে, এরকম। নজরুন সঙ্গিত। আমি গান শুনিনা, তাই বলতে পারছি না। বাইরে মুশুল ধারে বৃষ্টি হচ্ছে। মুসুল ধারে বৃষ্টি মানে কি? কেউ কি জানে? শুনে মনে হয় মুসুল বলে কোনো একটা জায়গার কোনো পার্শ্বে ধুমায়া বৃষ্টি হচ্ছে, তাই মুশুল ধারে বৃষ্টি। মুসুল বানান নিয়ে কনফিউশান হচ্ছে, শ নাকি স নাকি ষ। যাই হোক আজ রাত টা চমতকার। বাইরে ফাটাফাটি একটা বৃষ্টি নামছে।




বিরিশিরি


কাল ইনশাল্লাহ বিরিশিরি যাচ্ছি। প্রথমে কথা ছিল আমি আর আলেন যাবো। পড়ে ঘোড়াও অনেক লাফালো, দোস্ত আমি যাচ্ছি। আজ বিকালে ফোন করলাম বল্লো বদমায়েশের নাকি জন্ডিস হয়সে। ও যাচ্ছেনা। আলেন কে ফোন করলাম, বল্লো ওর শরীর নাকি অনেক খারাপ জ্বর। একটু চিল্লা চিল্লি করতেই জ্বর ভালো হয়ে গেলো। যাই হোক কপালে থাকলে কাল সকালে আমরা দুইজনে মিলে যাচ্ছি। আমার বাসা থেকে আমরা যাব মহাখালি বাসস্ট্যান্ড। ওখান থেকে নাকি বিরিশিরি ডাইরেক্ট বাস ছাড়ে, ঘোড়া নাকি গিয়ে দেখে আসছে বাসের অবস্থা খারাপ, যদি তাই হয় আমরা নেত্রকোনা যাব প্রথমে ওখান থেকে বিরিশিরি। বিরিশিরিতে থাকার ভালো ব্যাবস্থা আছে YWMCAতে। ওইখানে জায়গা না হলে নদীর ওপারে দুর্গাপুরে গিএ থাকবো। জানি না ট্রিপটা কেমন হবে, কিন্ত অনেক দিনের পর ঢাকার বাইরে তো যাওয়া হবে।




নিজামীর জামিনঃ


আজকের পেপারের সবচে বড় খারাপ খবর জামায়াত আমীর রাজাকার নিজামীকে জামিন দেয়া হয়েছে...বদ্মায়েশ দের কে কি বলা যায়?

Monday, July 14, 2008

বাদল রাতে, একা একা



বাইরে অঝর বর্ষন, বর্ষা কালের রাত গুলো জেগে থাকার জন্যে চমতকার। একা একা জেগে মুভি দেখা, চ্যাট করা কিংবা বিছানায় আলতো শুয়ে বই পড়তে মজাই লাগে। আজকে রাতে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে ঠিকই কিন্ত এটা প্যাচ প্যাচে বৃষ্টি, মজাদার কোনো ছন্দ নেই তাতে, ম্যাড়ম্যাড়ে রবীন্দ্র সঙ্গিত।




আজকে কম্পিউটার ঠিক হয়েছে। কিন্ত ভালো লাগছে না। কিছুই নাই করার মতো বা লিখার মতো। পড়শু সকালে বিরিশিরি যেতে পারি, যদি যাওয়া হয় তাহলে হয়তো লিখার মতো কিছু পাওয়া যাবে। সাথে যাবার কথা আলেন এর, কিন্ত ওর নাকি অনেক জ্বর। পড়শু দিনের আগে সুস্থ হয়ে উঠতে পারলে যাবে। আর আছে ঘোড়া। কিন্ত ঘোড়া অতি চালাক। ওর উপরে বিস্বাস নাই। আর ও আগে থেকে বলতেছে ওর কাছে নাকি টাকা নাই, আমাকে সামলাতে বলতেছে, ব্যাপারটা আমার ভালোলাগতেছে না। শালা ফটকাবাজ।




যাই হোক, কিছু লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে ব্লগে। আমার নিজের কিছু হয় নাই। তাই কিছু নিউজ দিয়ে দিলাম।


Miss Universe 2008


মিস ইউনিভার্স ২০০৮ সিলেক্টেড হয়েছে মিস ভেনিজুয়েলা। মিস আমেরিকা ছিল টপ ফেভারিট। কিন্ত মিস ইউনিভার্স কম্পিটিশনের লাস্ট দিনে অনেক গুলো কম্পিটিশনের শেষ দিনে অনেক গুলো কম্পিটিশন হয় যেমন ইন্টারভিউ আরো কি কি জানি। ওখানে গাউন কম্পিটিশনে গাউন পরে ক্যাটওয়াক করার সময় মিস আমেরিকা আছাড় খেয়ে ধপাস। এই চান্সে মিস ভেনেজুয়েলা চ্যাম্পিয়ান হয়ে গেছে। মিস ইউনিভার্স বা মিস ওয়ার্ল্ডদের নাম খুব কম জনে জানে, সবাই দেশের নামে পরিচিতি পায়। নেটে খুজেও এবারের চ্যাম্পিয়ানের নাম বের করতে পারলাম না। ছবিতেও নাম নাই।




Mohammad asif, again in drugs


মোহাম্মাদ আসিফ আবার ধরা খাইলো ড্রাগ কেলেঙ্কারীতে। আগে একবার ইংল্যান্ডে শোয়েব আখতারের সাথে গাজা নিয়ে ধরা খাইছিলো। পরে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আরেকবার টুরের মধ্যে থেকে আসিফ আর শোয়েব আখতারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলো, কারণ পিসিবির ড্রাগ টেস্টে দুজনেই ধরা পরছিলো। কিছুদিন আগে এশিয়া কাপের আগে আগে দুবাইতে ড্রাগ নিয়ে ধরা পরলো। সেই নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে আসার আগেই আবার ধরা। ইন্ডিয়ার আইপিএল লিগের সময় লীগ কমিটি ১৪ জন প্লেয়ারকে র‌্যান্ডমলি বেছে নিয়ে তাদের মুত্র নমুনা পাঠায় সইজারল্যান্ডের একটা ল্যাব এ। ওদের রিপোর্টে আসিফ ধরা পরলো আবার। দেখি কোথাকার জল কোথায় গড়ায়।


Monday, July 7, 2008

Nishachor...















voyer bepar hoye jacche...mota muti vabe pura puri nisachor hoye gesi...kal rate eto try korlam ghum holo na..last kisu din dhorei rate ghum hocche na...dine ghumai...kalk ejonne onek try korlam...parlam na...sokal 8 tay ghumate gesi...uthlam bikal 4tay...allan k nie silk route namer chelemanushi ovijane jawar kotha silo...plan silo sadarghat theke noukay sowari ghat porjonto jabo then chokbajar e launch kore hata ....veribadh e nodir pashe hete joto dur jawa jay...kintu ghumer jonne holo na...





goto rate ja ja korlam.










1. Asia Cup Final: Srilanka beat India;










First e batting kore Srilanka...Indiar IPL star ra sobai khub valo chaser..sobai boltese ekhon oder batting line up world best...So Srilanka jokhn firstei 10 over e 4ta wicket haralo sobai vablo khela sesh...but old fox jaysurya dhumaya pitailo Indian der...Jaysuria 39 yr but ekhono sei Matara Haricane...ager speed e batting korlo...125..Srilanka jokhn 273 e all out mather baire aste aste Indian player ra hi5 diccholo ...agei jaywardhane r dhoni bolsilo jei math ekhane 400 hocche safe target...300 er niche kono target targeti na...Indian ra suru korsilo nirvar hoye...but new sensetion ajanta mendis sob elo-melo kore dilo...tar rohosshomoy abishkar keram ball...keu bujhtesilo na j se ki kortese...tasher ghar er moto indian durveddo batting durgo gurie gelo 173 run e...india harlo 100 rune...unbelivble...















2, Boi-Pora: Kal rate onek gula boi narsi...but temon vabe pora hoy nai...funny type kisu khujlam but pelam na...last jafar iqbal er Shanta poribar porlam...Syed Samsul Haq er srestho golpo porar try korlam...koyekta golpo ektu xceptional baki gula moteo valo laglo na...kobor nie likha golpo ta shundor...ek lok tar wife mara gese...se onek kosto pay protidin...everyday bonani koborsthan e kobor er pase bose thake...arek mohila matro koyekdin age tar husband mara gese...seo kobor e asche...oi loker sathe alap hoy kobor nie..kobor e ki ki gach lagano uchit..kobor paka korbe kivabe...erkom..aste aste kobor kendrik regular golpo..pore kobor ta chute jay koborsthaner porichoye...seshe venue koborsthan theke change hoy...porer bochore tara bie kore...aste aste bonani jawa tao bad pore jay...nice golpo...ohho kutu mia porlam..humayon ahmeder...onek ager boi...kintu ami pori nai..net e porlam...shundor golpo...vorer dike porlam...net e ...voy lagse...LOL...









3. Movie Dekha: Kalk new movie na thakay puran movie dekhlam...Ocean 12...marattok...sobche moja lagse Ocean er wife jokhn Julia roberts seje rome e hajir...sottikarer will smith er sathe dekha hoye jay...besh moja lagse...

Sunday, July 6, 2008

Ibn Battuta ( ইবনে বতুতা)



আজকে সকালে tv দেখতেছিলাম। দেখলাম হিস্ট্রি চানেল এ ইবনে বতুতার উপরে একটা প্রোগ্রাম হচ্ছিল। উনি কিভাবে মরক্কো থেকে যাত্রা শুরু করলেন। কয়েকবার হজ করলেন। এর পরে ৬০০ বছর পরে একজন পরযটক আবার সেই একই পথ ধরে যাত্রা শুরু করলেন। আরাব বিশ্ব ঘুরলেন। তুরষ্কের রহস্যময় দরবেশ গত্রো যারা সঙ্গিত দিয়ে আল্লাহকে খুজে... এর পরে ডেড সী পাড়ী দিয়ে ইয়রোপ, রাশিয়া হয়ে উজবেকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান হয়ে আসলেন মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে ধনি রাজ্য দিল্লীতে, দিল্লীর সিংহাসনে তখন ছিলেন সুলতান মাহ্মুদ। যাকে ইবনে বতুতা বলেছিলেন সাইকোপ্যাথ...সুলতানের জন্যে নিয়ে গেলেন উট, আরবি ঘোড়া, এবং সাদা ক্রিতদাস, সুলতান ইবনে বতুতাত শিক্ষা আর পান্ডিত্যে মুগ্ধ হয়ে তাকে জোর করে দিল্লীতে আটকে রাখছিলেন। পরে উনি মাটির তলে ৪০ দিন ধ্যান করলেন, এরপরে সুলতান তাকে অনেক উপহার দিয়ে ছেড়ে দিলেন...পথে ডাকাত দল হামলা করে, সুলতানের সব উপহার ডাকাতেরা লুট করে নিয়ে যায়। অনেক আগে মরক্কোতে ইবনে বতুতা রদেভুর দেখা পেয়েছিলেন, যে তাকে বলেছিল তুমি এরকম বিপদে পরবে আর তোমাকে উদ্ধার করবে দিলশাহ বলে একজন। সত্যি সত্যি আহত ইবনে বতুতা যখন পরে ছিলেন এক লম্বা ভারতীয় এগিয়ে এলেন, নিজের নাম বল্লো দিলশাহ। উনাকে ঘাড়ে করে নিরাপদ আশ্রয় এ নিয়ে এলেন। এরপরে ইবন বতুতা অনেক খুজলেন কিন্তু এলাকা বাসী জানাল এখানে দিলশাহ বলে কেউ থাকেনা...

ইবনে বতুতা চলে আসলেন ভারতের সবচে ঐষয্যময় বাংলাদেশে। সিলেটে শাহজালাল (রাঃ) এর সাথে উনার দেখা হবে, বগুরা, দক্ষিন বঙ্গ ঘুরে উনি চট্টগ্রাম থেকে জাহাজ করে যাবেন শ্রীলঙ্কা...এর পরে মালদ্বীপ হয়ে যাবেন রহস্যের চীন দেশে...।

৩০ বছর ঘুরে দুনিয়ার পথে পথে এর অভিজ্ঞতা নিয়ে তার অমর বই "রিসালা"



Abu Abdullah Muhammad Ibn ِAbdullah Al Lawati Al Tanji Ibn Battuta (Arabic: أبو عبد الله محمد ابن عبد الله اللواتي الطنجي ابن بطوطة‎) (born February 24, 1304; year of death uncertain, possibly 1368 or 1377) was a Moroccan Berber[1] scholar and jurisprudent from the Maliki Madhhab (a school of Fiqh, or Sunni Islamic law), and at times a Qadi or judge. However, he is best known as a traveler and explorer, whose account documents his travels and excursions over a period of almost thirty years, covering some 73,000 miles (117,000 km). These journeys covered almost the entirety of the known Islamic world and beyond, extending from North Africa, West Africa, Southern Europe and Eastern Europe in the West, to the Middle East, Indian subcontinent, Central Asia, Southeast Asia and China in the East, a distance readily surpassing that of his predecessors and his near-contemporary Marco Polo.
At the instigation of the Sultan of Morocco, Abu Inan Faris, several years after his return, Ibn Battuta dictated an account of his journeys to a scholar named Ibn Juzayy, whom he had met while in Granada. This account, recorded by Ibn Juzayy and interspersed with the latter's own comments, is the primary source of information for his adventures. The title of this initial manuscript تحفة النظار في غرائب الأمصار وعجائب الأسفار may be translated as A Gift to Those Who Contemplate the Wonders of Cities and the Marvels of Travelling but is often simply referred to as the Rihla الرحلة, or "Journey". Whilst apparently fictional in places, the Rihla still gives as complete an account as exists of some parts of the world in the 14th century.
Almost all that is known about Ibn Battuta's life comes from one source—Ibn Battuta himself. In some places, the things he claims he saw or did are probably fanciful, but in many others, there is no way to know whether he is reporting or storytelling. However, due to the complexity and thoroughness of his accounts, we are left to assume that his chronicles were in fact true.
An impact crater on the moon, the Ibn Battuta crater, is named after him. A themed shopping mall in Dubai, the Ibn Battuta Mall, also bears his name, with some of his earlier research and inventions in displays scattered throughout its corridors