Wednesday, July 23, 2008

Vule Jawa manushder kotha ভুলে যাওয়া মানুষদের কথা


আজকে ২৩ জুলাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তান জেলে বন্দী, একটা জাতি কে আরেকজনের ইমেজের সামনে রেখে একতা বদ্ধ রেখে একটি রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সহজ নয়। আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া ভারতের অভ্যন্তরীন পলিটিক্স এবং চাপ ছিল, নির্বাসিত সরকারও আন্তঃদলীয় রাজনীতির উর্ধে ছিল না। একটা বইএ পরেছিলাম কলকাতায় নির্বাসিত সরকারের একজন মন্ত্রী নাকি সিআইএর সাথে কলকাতায় গোপন বৈঠক করে ( সন্দেহের তীরটা যায় খোন্দকার মোশতাকের দিকেই)। ভারত সরকারও দির্ঘদিন মুক্তিবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ছিল। একটা কনভেনশনাল আর্মির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে স্বভাবতই তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। আর ছিল ভয় হয়তো যুদ্ধ দির্ঘদিন চললে এক সময় মুক্তিযোধারা হতাশ হয়ে ফ্রন্টলাইন থেকে সরে আসতে চাইবে, এবং অর্থের জন্যে অস্ত্র গোলাবারুদ নকশাল কিংবা অন্যান্য কমুনিস্ট সন্ত্রাসপন্থীদের হাতে ছলে যাবে। বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনী কিংবা সরকারের ভেতরেও ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ। যুদ্ধের শেষের দিকে জন্ম নেয় মুজিব বাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকার যার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতো না অনেক দিন। শুনেছি এমনও নাকি দিন গেছে প্রোপার ইনফর্মেশনের অভাবে মুক্তি বাহিনী আর মুজিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। তরুণ আওয়ামী উগ্র পন্থিরা নাকি দাম্ভিক ভাবে বলে বেড়াতো আমরা মুজিব বাহিনী বঙ্গবন্ধুর লোক, আর মুক্তিবাহিনী তাজুদ্দিনের লোক, আমরা বেটার। এগুলো পেয়েছিলাম এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি বইটায়। ওখানে পড়েছিলাম একদিন বাংলাদেশ এম্বেসি তে একজন তরুন আওয়ামি লীগ নেতা আসলেন। বললেন তাজউদ্দিন সাহেবের সাথে দেখা করবেন। উনার পিএ জিজ্ঞেস করলেন আপনার আপয়ন্টমেন্ট আছে? উনি বললেন কিছু লাগবে না, আপনি আমার নাম বলেন। পিএ ভেতর থেকে এসে জানালেন। স্যার একটা মিটিং এ আছেন, আপনি অপেক্ষা করুন, মিটিং শেষে আপনার সাথে দেখা করবেন। সেই নেতা ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, এভাবে অপমানিত হবো জানলে আসতাম না। বঙ্গবন্ধুর প্রধান সহচর এবং দক্ষ এডমিনিস্ট্রেট্র হলেও নেতা হিসাবে খুব একটা গ্ল্যামারাস ছিলেন না উনি। হয়তো একারনেই সব সময় লাইম লাইটের আড়ালে থেকে পরিশ্রম করার কারনেই সুফল ভোগের মুহুর্তে উনি থাকতেন না। এজন্যেই হয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু আর উনার মাঝে বিভেদ তৈরি করতে পেরেছিলেন। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উনি বলেছিলেন, আমি কৃতজ্ঞতা থেকেই মুজিবের মন্ত্রি সভা থেকে পদত্যাগ করবো না। উনাকে আমাকে বরখাস্ত করতে হবে। সভ্য সমাজ হতবম্ভ হয়ে যায় যখন শোনে একটা জাতির মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী নেতাটাকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয়।



উইকিপিডিয়া থেকেঃ

Tajuddin Ahmad (Bengali: তাজউদ্দিন আহমেদ)(1925 - November 3, 1975) was a Bangladeshi politician who was one of the most prominent leaders of the Awami League. A statesman of a lofty magnitude, he successfully headed the government at Mujibnagar during the Bangladesh Liberation War. He was instrumental in forming the first government of the Peoples' Republic of Bangladesh on April 10, 1971.When Mujib assumed the title of president and banned other political parties in 1975, Ahmad opposed the forming of one party system known as BAKSAL. When Mujib was assassinated by a group of army officers on 15 August 1975, Ahmad was house arrested on the very same day. Later on August 22, he was arrested with other political leaders by the regime of the new president Khondaker Mostaq Ahmed and imprisoned at the Dhaka Central Jail. On November 3, in what became infamously known as the "Jail killings," Ahmad along with Syed Nazrul Islam, A. H. M. Qamaruzzaman and Muhammad Mansur Ali were killed by a group of army officers, by the direct instruction of Khondakar Mushtaq Ahmed. The recent release(March 25 2007) of a widely acclaimed documentary, Tajuddin Ahmad: An Unsung Hero (directed by Tanvir Mokammel) reflects a growing interest in the life and works of Tajuddin Ahmad.



No comments: