Saturday, August 30, 2008

ঃঃঃঃঃঃ মধ্যরাতের বৃষ্টী ভেজা আর তেহারী খাবার গল্প ঃঃঃঃঃঃঃ

ঃঃঃঃঃঃ মধ্যরাতের বৃষ্টী ভেজা আর তেহারী খাবার গল্প ঃঃঃঃঃঃঃ

কাল রাতে তুমুল বৃষ্টি হলো,
আমি গিয়েছিলাম তেহারী ঘরে, সোবাহানবাগে। আমার খুব প্রিয় একটা খাবার জায়গা। হাজীর বিরিয়ানীতে তেল থাকে বেশি, স্বাদে সময় অসময় বায়নাক্কা থাকে বেশি, আর ফকরুদ্দীনের বিরিয়ানী আমার কাছে কেমন যেন পানসে পানসে লাগে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো। এখন আমাকে আর কিছু বলতে হয়না। খালি একটা চেয়ার দেখে বসে পড়ি। অপেক্ষা করতে হয়না, (মাঝে কিছু দিন অনেক চিল্লা চিল্লি করেছিলাম, তার ফল) চলে আসে প্রথমে হাফ প্লেট তেহারী, কাঁচা পেয়াজ ফালি ফালি করে কাটা আর দু গ্লাস ঠান্ডা পানি। আমি কখোনোই ওখানকার সালাদ খাই না। কেমন যেন গন্ধ লাগে, আর ক্ষীরা টা জ্বালা থাকে। তাই সালাদ দেয়েই না। এর পরে হাফ শেষ না হতে হতে আরেক হাফ চলে আসে, সেটা শেষ করে হাত মুখ ধুয়ে বসতে না বসতেই চলে আসে এক গ্লাস কোকাকোলা।

নিঃসন্দেহে ঢাকার বেষ্ট তেহারী বানায় মোহাম্মদপুর বিহারী ক্যাম্পের ভেতরে। কিন্ত হাইজেনিক ইস্যুর কারনে ওখানে লোক যায় খুব কম। ওখানে তেহারী দেয় টিনের প্লেটে আর পানি খাবার সিস্টেম আরো ভয়ানক। সামনে গলির মুখে গ্লাস নিয়ে টিউবওয়েল চেপে খেতে হয়। কিন্ত তেহারী হয় অসাধারণ বেহেস্তি। বেশিরভাগ মানুষেরই পেটে এ জিনিস সহ্য হয় না। কিন্ত আমার পেট হয়তো অমানুষ কিংবা অতি মানুষের।

তেহারী খেয়ে একটা রিক্সা নিলাম। রাত ১১টার মত বাজে। রাপা প্লাজার সামনে ভয়ঙ্ক্র জ্যাম। রিক্সা ওয়ালা নজরুল ভবনের ওদিক দিয়ে চান্সে রিক্সা ঢুকিয়ে দিল, সাতাশ নাম্বার দিয়ে বের হলাম। টিপ টিপ করে বৃষ্টী পড়ছিল, ধানমন্ডি লেকের পাশে জোরে নামলো। পথে লোকজন কমে গিয়েছিল, বৃষ্টী ঝেটিয়ে সবাইকে সরিয়ে দিল, আমার রিক্সাওয়ালা আমাকে পলিথিন সাধলো। আমি নিলাম না। শঙ্করের মাথায় খুব চমতকার একটা দৃশ্য দেখলাম। মোবাইল ফ্যামিলি, বাবা একটা ভ্যান গাড়ি টানছে, আর পিছে গমভির মুখে মা বসে আছে, পাশে তিনটে ছোট ছোট বাচ্চা। বাচ্চাগুলো কোন কারণে খুব মজা পাচ্ছিল, সবচে ছোটটা অকারণ হাসিতে কুটি কুটি। বাকি গুলো একটু পর পর ছোটর সাথে যোগ দিচ্ছিল। হয়তো মাঝরাতের অঝোর বর্ষন ওদের হাসির কারণ। মা একটু পর পর ওদের দিকে চোখ রাঙ্গানী দিচ্ছে, বড় দুটো লাল চোখ দেখে চুপ করে গেলেও সবচে ছোটটা পাত্তাই দিচ্ছে না। সে ক্রমাগত হেসে কুটি কুটি।

শঙ্কর পার হয়ে লালমাটিয়া RABঅফিসের সামনে আসতেই আকাশ ভেঙ্গে বৃষ্টি নামলো, রিক্সার হুড তুলে দিলাম, কিন্ত রিক্সাওয়ালার কাছে পলিথিন ছিল না। ভিজে একশেষ। আমার গায়ে টেক্সটমার্টের কর্পোরেট শার্ট। এই ড্রেস পরে মিটিং করা যায়, কিন্ত শ্রাবনের ঝুম বৃষ্টিতে ভেজা...ঠিক মানায় না। ভিজতে অনেক মজা লাগলো, মনে হচ্ছিলো আকাশ যেন ফুটো হয়ে গেছে। পৃথিবী ভাসিয়ে নেবে যেন। মোহাম্মদপুর ট্রাক স্ট্যান্ডের সামনে একজন বাবা মোটর সাইকেল থামিয়ে মসজিদের গেটের নিচে ঢোকার চেষ্টা করছে, সাথে দুই পিচ্চি, মেয়েটা ৭/৮ বছরের হবে, আর ছেলেটা বছর পাঁচেকের, অপু আর দুর্গার ঢাকা এডিশান যেন, বাধ্য হয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে হচ্ছে, ভেজার জন্যে কারো বকা খেতে হবে না, তাদের মজা দেখে কে। বাবা ভদ্রলোক কিছুক্ষন হতবম্ভের মত তাকিয়ে থাকলেন। বৃষ্টি যে এত ভয়াবহ ভাবে নামবে বেচারা বুঝতে পারেনি। দুই দুষ্টু কে নিয়ে কিছুক্ষন হতবম্ভ হয়ে থাকলেন। বাচ্চাদের মজা দেখে একটু পরেই পশ্রয়ের হাসি হাসলেন, অবিকল বিভুতিভুষনের হরিহর মুখুজ্যের মত।

পুরো ঢাকা শহরের মলিনতা মুছে দিতে যেন তুমুল বৃষ্টি নামলো। সাথে ঢাকের তালের মতো বাজ পড়া, ঠিক ঝর বলা যায়না, শ্রাবন মাসে কি ঝর হয়, বৃষ্টির দিন। তাজমহল রোড আসতে আসতে আমি ভিজে কাঁই হয়ে গেলাম। ভালো লাগলো অনেক, মনের আদ্রতা তবুও থেকে গেল কিছুটা, কেন? সে আরেকগল্প বলা যাবে আরেকদিন। অন্যকোনো রাতে বৃষ্টিতে ভেজার পর।



পরশু রাত (২৮/০৮/০৮) বৃষ্টি শুরু হলো রাত ১১টার একটু পরে, মুশুলধারে বৃষ্টি, রাত তিনটা পর্যন্ত চলে, লেখা টা পরের দিন রাতে লিখা, এখন, নেট লাইন পাচ্ছিনা, কেন কে জানে, কালকে যদি সময় পাই আর নেট ঠিক থাকে, পোস্ট করে দেব।

Saturday, August 9, 2008

Indigenous Day!










আজকে বিশ্ব আদি-বাসী দিবস।





আমাদের দেশে আদি-বাসী আর উপজাতীয় দের মাঝে সবাই গুলিয়ে ফেলে। আমেরিকার সভ্য(?) মানুষেরা যখন পুরো মহাদেশটাই লোপাট করে ফেলল তখন পাইকারী হারে রেডইন্ডিয়ান দের মেরে কেটে তাদের যায়গা জমি সব দখল করে ফেলে, একই অবস্থা আফ্রিকাতেও। সাদা মানুষেরা আদি বাসীদেরকে হটিয়ে দিয়েই দেশটা লুটে নিলো। দক্ষিন আমেরিকার অবস্থা আরো করুণ। সন্দেহ নেই সেই সময়ের মায়ান রা স্প্যানিয়ার্ডদের চেয়ে জ্ঞ্যান বিজ্ঞানে হাজার গুনে সভ্য ছিল। কিন্ত হয়তো ইউরোপিয়ান দের মত ধরিবাজ ছিল না ওরা। এই জন্যেই আজ মায়ারা হারিয়েই গেল। মায়া সভ্যতা অসভ্য ইউরোপিয়ান দের হাতে বিধ্বস্ত না হলে বিজ্ঞান হয়তো অনেক হাজার গুন এগিয়েই যেত ২০০৮ সালে। অস্ট্রেলিয়ান্দের ইতিহাস আরো নির্মম। মাত্র ২০০ বছর লেগেছে তাসমানিয়ান দের কে সমুলে উচ্ছেদ করতে। শুনেছি, ইংল্যান্ডের জেল খানাতে যেই সব বিপদজঙ্ক আসামীদের রাখা কঠিন ছিলো তাদেরকেই নির্বাসনে পাঠাতো ক্যাপ্টেন কুকের নতুন বিশ্বে...।ডাকাত দলের সাথে এলো মহাদেশ এর একমাত্র শ্বাপদ (ডিংগো কুকুর)... বর্তমানে টাসমানিয়ায় আদি-বাসী যারা আছে ওরা মাউরি কিংবা অন্য জাতির লোক।



আমাদের দেশে সাওতাল রা আদিবাসী...। হাজং কিংবা গারোদেরকেও অনেকে আদি-বাসী বলে কিন্ত তাদের মঙ্গোলয়েড চেহারা...চাকমা মারমা, ম্রো, বম দের মতো...। আদি-বাসীদের আর উপজাতিদের উপর লুট-পাট কিংবা নির্যাতন কিন্ত সমান। বান্দারবানএ যত বার গেছি, একি ব্যাপার। ওখানে বাঙ্গালী সেটলার যারা আছে তারা মুলত ছিল দেশের খুব দরিদ্র আর নিঃস্ব লোক। বেচে থাকার জন্যেই ওদের কাছে অপরাধ ছিল ডাল ভাত। ওদেরকে যখন পাহাড়ে খাস জমিতে পাঠানো হলো লুট-পাট করা স্বাভাবিক। যা দেখেছি বাজারের বেশিরভাগ ব্যাবসায়ীরাই বাঙ্গালী, পাহাড়িরা চমতকার মানুষ...বিশেষ করে বম কিংবা ম্রো রা...খুব সহজ সরল লাগছে আমার কাছে ওদেরকে।



সাওতাল কিংবা অন্যান্যদের সাথে তেমন ভাবে মিশি নাই কখোনো।

Tuesday, August 5, 2008

tumi amar koyekdiner ghum na hobar karon hobe....



অনেক দিন পর আবার বৃষ্টি হচ্ছে। এটা যে খুব শুকনা টাইপ বর্ষা গেছে এটা কেউ বলতে পারবে না। আষার মাসটাতে ভালো বৃষ্টি হলো, আর শ্রাবণের প্রথম দিকটাতে তো ঝুম বৃষ্টি, কিন্ত শ্রাবনের মাঝা মাঝি থেকে হঠাত করে যে কি হলো, দিনের বেলা কড়া রোদ উঠে, আকাশ থাকে ঝক ঝকে...শ্রাবণ মাসের আকাশে ধুলা বালি এমনিতেই কম থাকে, এরকম আকাশে অনেক তারা দেখা যায়... লোড -শেডিং এর টাইমে আমি তো এক সন্ধ্যায় ড্রাগন মন্ডলী দেখলাম। একদিনে গভীর রাতে অবাক হয়ে দেখলাম আকশে ছায়া পথ দেখা যাচ্ছে, ঢাকার আকাশে ছায়াপথ অবিশাস্য। গত দুই তিন ধরে আবার ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। এখন যেমন রাত দুই টা, পুরো নগরী ঘুমিয়ে পাগল হবার দশা, বাইরে শ্রাবণের অঝর ধারা ক্রমাগত ঢাকা কে ভিজিয়ে দিচ্ছে বারে বার। সারা ঘুমে অস্থির সবাই আর আমি জেগে বসে একা...আজকে বেশ মজা লাগছে। বেশ কিছু দিন ধরে রাতে ঘুম হচ্ছে না। সকালে সূর্য্য উঠার অনেক পড়ে ঘুমাতে যাই, গত কয়েকদিন ধরে সকালে জগিং শুরু করছি, অনেক মজা লাগছে, ধান মন্ডি লেক এর পাশে অনেক লোক জগিং করছে, জীবনকে কতো ভালোবাসে সবাই...মানুষের অসম্ভব শক্তিশালী মন কিংবা আত্মা যেটাই বলি তার পার্মানেন্ট আড্রেস কিন্ত নশ্বর দেহে, তাই আত্মাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যত বেশী দিন পারা যায় দেহ টাকে বাঁচিয়ে রাখা লাগবে। কালকে সারা রাত জেগে কাটানোর পরে সকালে পাঁচটায় আলো ফুটলো, আমি অনেকটা রাস্তা বেশ জোরের সাথে দৌড়ালাম, মিলিটারি একাডেমি ছাড়ার এতো বছর পরে শরীরে সেই জোস টা আর নাই, তার পরের চেষ্টা করলাম। ২৭ নাম্বারের মাথায় গিয়ে আর পারলাম না। জোড় কদমে হাটা শুরু করলাম। ধানমন্ডি লেক এর পাশ দিয়ে হাটতে হাটতে রাইফেলসএর সামনে দিয়ে ফেরত আসলাম জাহাজ বাড়ির পিছের রাস্তা দিয়ে, নজরুলের কবি ভবনের সামনে চা খেতে খেতে গতকালের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এক ড্রাইভারের জ্বালাময়ী ভাষন শুনলাম, ড্রাইভার লোকটা মনে হয় আওয়ামী লীগার, কঠিন বক্তৃতা দিয়ে সরকারকে তুলা ধুনা করলো, বাসায় এসে না ঘুমিয়ে নয়টায় ক্লাসে গেলাম আলেনকে নিয়ে। সেমিস্টার ড্রপ করছি, সবাই নতুন মুখ, এই ব্যাচ এর পোলাপান বোধ হয় সবাই ঘাগু টাইপ স্টুডেন্ট, আপ্লাইড স্ট্যাট এর মত সাবজেক্টেও দেখলাম ক্লাশে সবার দুর্ধষ পার্ফরমেন্স। বরিশাইল্যা সুমন আগে আমদের ব্যাচ এ ছিল, আইএলটস করার জন্যে ও আগে সেমিস্টার ড্রপ দিছলো, এখন তাই একমাত্র ওকে পেলাম। অনেকক্ষন কথা হলো, ও পরিচয় করে দিচ্ছিল, মেয়েদের ব্যাপারে দেখি ওর কমেন্টসগুলো খুব অদ্ভুত, ওইযে সুন্দরমত মেয়েটা দেখছিস ও হচ্ছে আমাদের ফার্স্ট গার্ল, ইস্টওয়েস্টের এক পোলার সাথে অনেক দিন রিলেশন ছিল, এখন নাই...।ফাউল মেয়ে। আমি বিরক্ত প্রকাশ করাতেই বলল হ্যা তোর মত যেই সব পোলাপান বলে যে গার্লফ্রেন্ডের মোবাইল বিজি থাক্তেই পারে তাদের সাথেই এইসব হয়। আরে আমি বয়ফ্রেণ্ড একটা মেয়ের আর কি বিজিনেস? আমি কি আর করি, একটু রক্ষনাত্মক হয়ে বললাম হ্যা রাত বারোটার পরে বিজি পাইলে একটা কথা কিন্ত দিনের বেলা ওর কাজ থাকতে পারে না? আজকাল খুব কম পাবলিকই তো খালি পড়াশুনা করে, সবাই মোটামুটি পড়াশুনার পাশাপাশি, পার্টটাইম অর অন্য কিছু করছে...সুমন বিশাল কাহিনী বলল, স্ট্যামফোর্ডে নাকি ওর এক ফ্রেন্ড আছে, যার গার্লফ্রেন্ড একদিন ওদের ফ্রেন্ড আড্ডায় আসছিলো, ওখান থেকে ইস্টওয়েস্টের আরেক ফ্রেন্ডের নাম্বার নিছলো, এর পর থেকে নাকি ওই ছেলে দেখে প্রায় রাতেই মেয়ের মোবাইল বিজি থাকে, তাই ওই ছেলে ঠিক করলো একদিন ওই ছেলে ওকে ফলো করা শুরু করলো। একদিন সব বন্ধু নিয়ে ফলো করছিলো, দেখলো মেয়েটা ওর সেই ফ্রেন্ড (ইস্টওয়েস্টের) নিয়ে ইয়াম ইয়ামএ ঢুকছে, ওই ছেলে ঢুকে সবার সামনে মেয়েটাকে থাপ্পড় মেরে চলে আসছে। সুমন খুব গর্বের সাথে ওর ফ্রেন্ডের কাহিনী বল্লো, আমি বললাম, তুই কিছু বললিনা? সে দেখি অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে...।


সুমন কে নাকি পল্লবীতে প্রায় দেখা যায় বাইকের পিছে একটা মেয়েকে নিয়ে ঘুড়তে। সুমনের গার্লফ্রেন্ড মেয়েটাকে আল্লাহ রক্ষা করুক। যদি রিলেশান না টিকে, চুকিয়ে দিয়ে দুই জন দুই দিকে চলে যাক...মারা মারি করা কি? অনেক দিন দুজনেই কষ্টের মধ্যে থাকবে। তুমি আমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবে, আমি তোমার কয়েকদিনের ঘুম না হবার কারণ হবো, ধীরে ধীরে সব ভুলে যাবে...ধীরে ধীরে সব ভুলে যাব...ভুলে যাবার আগের সময়টা অনেক কষ্টের কিন্ত জীবন তো থেমে থাকার নয়।

Friday, August 1, 2008

Nisshongo bochon. নিস্বঙ্গ বচন

ঃ ঃঃঃঃ ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
আজকের দিনটা অবশ্যি আমার জন্যে অনেক আলাদা। ভয়াবহ অসহায় আর পরিত্যাক্ত লাগছে নিজেকে...ঘুমিয়েছি শেষ কবে? পরশু দুপুরে...এরপরে থেকে টানা জেগে আছি...আমি একা।।

ভালো লাগছে না কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা। নিজেকে অনেক বেশি শস্তা আর খেলো লাগছে নিজের কাছেই। কেন এমন হয়। পৃথীবীটা কি শুধুই স্বার্থের জন্যে। নিঃস্বার্থ কিছুই নেই হয়তো। দূর নিজের অসহায়ত্ব নিয়ে লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে না। লিখাটা হয়তো পোস্ট করবো না কোনো দিনেও, হয়তো করলে ডিলিটও করতে পারবোনা কোনোদিনও। অনেক দিন পরে অনেক মাস বছর কিংবা হতে পারে সপ্তাহ পরেই হয়তো সব ভুলে যাব। তখন এই লিখাটার কোনো অর্থই থাকবেনা আমার কাছে। এটা এই আমির জন্যে আমার সান্তনা। মায়াভরা দুই হাত মেলে ধরবেনা কেউ আমার দিকে কখোনো, যদি ধরে সেটা এই আমি নিজেই।
ঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃঃ
আজকে অগাস্ট মাসের ১ তারিখ।

Tuesday, July 29, 2008

শহরে একজন দেবদুত SHOHORE EKJON DEBDUT

শহরে একজন দেবদুত একজন LOVE GURU আর এক কোটি ক্রীতদাস

তোমার আমার এই শহরে
একটা বাউল পাগল করে

মাতাল সুরে নাচে

মোবাইল ফোনে কোকিল পাখি
মেঘের সুরে কাদতে বাকি

মিছেই ডাকে কাছে

এই শহরের পথের বাকে
কয়লা চুনে আকাশ আকে

হাতছানি দেয় কিছু

অনেক দুরের গাইয়া সুরে
উড়িয়ে নেবে অনেক দুরে

রয়না চেয়ে পিছু

....................................................................

লিখাটা কারোরেই কাছ থেকে তেমন প্রসংসা পেলোনা। কেন বুঝলাম না? আমার নিজের খুব ভালো লেগেছে। এরচে অনেক বিলো স্ট্যান্ডার্ডের লিখা সবাই কতো প্রসংসা করেছে। হয়তো আমি আমি যা ভেবে লিখেছি বাকীরা সেই প্রভাবটা দেখতে পারেনি।

এ শহরের কাঠিন্যের সামনে একজন মহান দেবদুতের আগমন হবে। বিশাল বেহেস্তি ডানা মেলে সে সবাইকে আগলে ধরবে। সবার কষ্ট হয়তো মিটিয়ে দিতে পারবে না। কিন্ত সবাইকে সে ভালোবাসবে, সে সবার আপনজন হবে। যেই বাবা অর্থের অভাবে তার ছেলের চিকিতসা করতে পারবেনা, সমস্ত জগত যার কাছে খুব দরিদ্র মনে হবে তার দিকেও সে তার ভালোবাসার ডানা মেলে দিয়ে বলবে, আমি তোমার আপনজন। হয়তো লাখখানেক টাকা এনে দিতে পারবে না। কিন্ত ভালোবাসবে।

Saturday, July 26, 2008

ভুমি-কম্প VUMIKOMPO


একটু আগে ভুমি কম্প হলো। ইলেক্ট্রিসিটি ছিল না, আমি বিছানায় মোমের আলোতে বই পড়ছিলাম। হঠাত মনে হলো কে জানি বিছানায় ধাক্কা দিল, বিছানাটা একটু দুলে উঠলো। সাথে সাথে বুঝতে পারলাম ভুমি কম্প। প্রথম টা বেশ জোরালো একটা ঝাকুনী ছিল। আমি লাফিয়ে উঠে বসতে গিয়ে টের পেলাম আরো ২টা আফটার শক। বেশ জোড়ালো ছিল।

পিঠের কাছে মেরুদন্ড বরাবর শীতল একটা স্রোত বয়ে যায়। মজা লাগে। অনেকটা রোলার কোস্টারের মতো।

Wednesday, July 23, 2008

Vule Jawa manushder kotha ভুলে যাওয়া মানুষদের কথা


আজকে ২৩ জুলাই, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে বাংলাদেশের নেতৃত্বদানকারী শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদের জন্মবার্ষিকী। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন পাকিস্তান জেলে বন্দী, একটা জাতি কে আরেকজনের ইমেজের সামনে রেখে একতা বদ্ধ রেখে একটি রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধ পরিচালনা করা সহজ নয়। আমেরিকা, চায়না, রাশিয়া ভারতের অভ্যন্তরীন পলিটিক্স এবং চাপ ছিল, নির্বাসিত সরকারও আন্তঃদলীয় রাজনীতির উর্ধে ছিল না। একটা বইএ পরেছিলাম কলকাতায় নির্বাসিত সরকারের একজন মন্ত্রী নাকি সিআইএর সাথে কলকাতায় গোপন বৈঠক করে ( সন্দেহের তীরটা যায় খোন্দকার মোশতাকের দিকেই)। ভারত সরকারও দির্ঘদিন মুক্তিবাহিনীর দক্ষতা নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ছিল। একটা কনভেনশনাল আর্মির বিরুদ্ধে এই যুদ্ধের ফলাফল নিয়ে স্বভাবতই তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা কাজ করছিল। আর ছিল ভয় হয়তো যুদ্ধ দির্ঘদিন চললে এক সময় মুক্তিযোধারা হতাশ হয়ে ফ্রন্টলাইন থেকে সরে আসতে চাইবে, এবং অর্থের জন্যে অস্ত্র গোলাবারুদ নকশাল কিংবা অন্যান্য কমুনিস্ট সন্ত্রাসপন্থীদের হাতে ছলে যাবে। বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনী কিংবা সরকারের ভেতরেও ছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শ। যুদ্ধের শেষের দিকে জন্ম নেয় মুজিব বাহিনী, কেন্দ্রীয় সরকার যার অস্তিত্ব সম্পর্কে জানতো না অনেক দিন। শুনেছি এমনও নাকি দিন গেছে প্রোপার ইনফর্মেশনের অভাবে মুক্তি বাহিনী আর মুজিব বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ পর্যন্ত হয়েছে। তরুণ আওয়ামী উগ্র পন্থিরা নাকি দাম্ভিক ভাবে বলে বেড়াতো আমরা মুজিব বাহিনী বঙ্গবন্ধুর লোক, আর মুক্তিবাহিনী তাজুদ্দিনের লোক, আমরা বেটার। এগুলো পেয়েছিলাম এম আর আখতার মুকুলের আমি বিজয় দেখেছি বইটায়। ওখানে পড়েছিলাম একদিন বাংলাদেশ এম্বেসি তে একজন তরুন আওয়ামি লীগ নেতা আসলেন। বললেন তাজউদ্দিন সাহেবের সাথে দেখা করবেন। উনার পিএ জিজ্ঞেস করলেন আপনার আপয়ন্টমেন্ট আছে? উনি বললেন কিছু লাগবে না, আপনি আমার নাম বলেন। পিএ ভেতর থেকে এসে জানালেন। স্যার একটা মিটিং এ আছেন, আপনি অপেক্ষা করুন, মিটিং শেষে আপনার সাথে দেখা করবেন। সেই নেতা ভদ্রলোক অবাক হয়ে বললেন, এভাবে অপমানিত হবো জানলে আসতাম না। বঙ্গবন্ধুর প্রধান সহচর এবং দক্ষ এডমিনিস্ট্রেট্র হলেও নেতা হিসাবে খুব একটা গ্ল্যামারাস ছিলেন না উনি। হয়তো একারনেই সব সময় লাইম লাইটের আড়ালে থেকে পরিশ্রম করার কারনেই সুফল ভোগের মুহুর্তে উনি থাকতেন না। এজন্যেই হয়তো ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধু আর উনার মাঝে বিভেদ তৈরি করতে পেরেছিলেন। শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত উনি বলেছিলেন, আমি কৃতজ্ঞতা থেকেই মুজিবের মন্ত্রি সভা থেকে পদত্যাগ করবো না। উনাকে আমাকে বরখাস্ত করতে হবে। সভ্য সমাজ হতবম্ভ হয়ে যায় যখন শোনে একটা জাতির মুক্তি সংগ্রামের নেতৃত্বদানকারী নেতাটাকে জেলখানার ভেতরে গুলি করে হত্যা করা হয়।



উইকিপিডিয়া থেকেঃ

Tajuddin Ahmad (Bengali: তাজউদ্দিন আহমেদ)(1925 - November 3, 1975) was a Bangladeshi politician who was one of the most prominent leaders of the Awami League. A statesman of a lofty magnitude, he successfully headed the government at Mujibnagar during the Bangladesh Liberation War. He was instrumental in forming the first government of the Peoples' Republic of Bangladesh on April 10, 1971.When Mujib assumed the title of president and banned other political parties in 1975, Ahmad opposed the forming of one party system known as BAKSAL. When Mujib was assassinated by a group of army officers on 15 August 1975, Ahmad was house arrested on the very same day. Later on August 22, he was arrested with other political leaders by the regime of the new president Khondaker Mostaq Ahmed and imprisoned at the Dhaka Central Jail. On November 3, in what became infamously known as the "Jail killings," Ahmad along with Syed Nazrul Islam, A. H. M. Qamaruzzaman and Muhammad Mansur Ali were killed by a group of army officers, by the direct instruction of Khondakar Mushtaq Ahmed. The recent release(March 25 2007) of a widely acclaimed documentary, Tajuddin Ahmad: An Unsung Hero (directed by Tanvir Mokammel) reflects a growing interest in the life and works of Tajuddin Ahmad.